শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের দুটি হাসপাতালে মিলছেনা কাংখিত সেবা, ফ‍্যাসিষ্ট আমলের সিভিল সার্জন বহাল তবিয়তে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

নারায়ণগঞ্জের দুটি হাসপাতালে মিলছেনা কাংখিত সেবা, ফ‍্যাসিষ্ট আমলের সিভিল সার্জন বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ একটি ঘনবসতিপূর্ণ শিল্পাঞ্চল। দেশের জিডিপি’তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও এখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এখানে কর্মের সন্ধানে আসে। যাদের অধিকাংশ মানুষই নিম্ন ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। চিকিৎসার প্রয়োজন হলে এখানকার অনেক বাসিন্দা খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু দালাল ও বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির লোকদের কারনে হয়রানীর শিকার হতে হয় সেবা নিতে আসা রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এই হাসপাতাল দুটির একটি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধায়ক ও অপরটি সিভিল সার্জন দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে এখানে আসা রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসা পান না বলে হাজারো অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মহল থেকেই৷ ফ‍্যাসিষ্ট সরকারের আমল থেকেই আসা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান এখনো লুটেপুটে খাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের চিকিৎসা সেক্টর। জেলা ও শহর জুড়ে অবৈধ ক্লিনিক প্রাইভেট হাসপাতাল সহ ডায়াগানস্টিক সেন্টার গুলোতে ভূল রিপোর্ট, বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ফ্লাট নিয়ে অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা, নরমাল গর্ভপাতের বদলে সিজার সহ ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা গুলোর নেই সিভিল সার্জনের কোন ভূমিকা ও তদারকি। তারকাছে কোন ভূক্তভূগী অভিযোগ দিয়ে ও সুফল পায়নি। সিভিল সার্জনে বিষয়টি দেখার জন‍্য জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল।
কারণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পরপরই স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং হাসপাতাল গুলোকে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করছেন। তারপরেও তারা তা মানছেন না। জেলা প্রশাসক স্বরজমিনে কয়েকবার হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন তিনি যখন যাবেন সেই খবর পেলেই তারা সচেতন হয়ে যায় হাসপাতাল থেকে দালাল সড়িয়ে দেয়,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করে দেয়, আবার চলে আসলে সব আগের মতই চলে।তাই নারায়ণগঞ্জ সচেতন মহল সিভিল সার্জন এর অপসারণ চায় যেহেতু সে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না।
চিকিৎসকরা প্রয়োজন না হলেও পরিক্ষা দিয়ে থাকেন বলে অনেক রোগীর অভিযোগ। তবে সেই সব পরিক্ষা চিকিৎসকদের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে হয় বলে জানা গেছে। যদি পরিক্ষাগুলো হাসাপতাল বা অন্যকোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করা হয় তাহলে অনেক সময় সেসকল পরিক্ষার রিপোর্ট চিকিৎসকরা গ্রহন করেন না বলে জানা গেছে।

গত কয়েক বছরে অত্র হাসপাতাল দুটিতে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড চোঁখে পড়েনি। অবস্থা সংকটাপন্ন না হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রতিনিয়ত রোগীদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রশ্ন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যদি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয় তাহলে এই হাসপাতাল দুটির কাজ কি, এখানে কি পরিপূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই নাকি জনগণের কষ্টের টাকা পানিতে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে হৃদরোগের রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ঢাকায় যাওয়ার পথে অনেক রোগী মারা যায়। নারায়ণগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা, এই শিল্পাঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..