শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

নামেই ৫০ শয্যা হাসপাতাল এক্স-রে আল্ট্রা মেশিন নেই, নেই টেকনিশিয়ানও

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ২১৭ বার পঠিত


মো তোফাজ্জল হোসেন তুহিন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
শুধু কাগুজে কলমে আর নামেই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন না থাকায় এখানে ৫০ শয্যার জনবল পোষ্টিং দেয়া হচ্ছে না। ফলে মুখ থুবরে পড়েছে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবা। উপজেলা বাসী বঞ্চিত হচ্ছে কাংখিত সেবা থেকে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ও আল্ট্রা মেশিন নেই। নেই কোন টেকনিশিয়ানও। মান্ধাত্মা আমলের (এনালগ) এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ ৮ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এক্স-রে মেশিন না থাকায় এখানকার টেকনিশিয়ান গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেপুটেশনে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এর পরে ৫০ শয্যার প্রয়োজনীয় অবোকাঠামো নির্মানের পর ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ প্রয়াত খন্দকার আব্দুল বাতেন। উদ্বোধনের পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যে তিমিরে ছিল আজও সেই তিমিরেই। পোষ্টিং দেয়া হয়নি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। নেই গাইনী সার্জন। বহু বছর ধরে এখানে অ্যানেসথেসিয়া (অজ্ঞানকারক) ডাক্তার নেই। নেই আল্ট্রা মেশিন। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে চরম দূর্ভোগ  আর সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন রোগিরা।
এছাড়া পরিচ্ছন্ন কর্মীর স্বল্পতা থাকায় হাসপালের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের চাহিদা দেয়া আছে। উপজেলা হেলথ কেয়ার (ইউএইচসি) থেকে এই মূহুর্তে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। তবে একটি এনালগ মেশিন দ্রæত পাওয়া যাবে। ডিজিটাল যুগে এনালগ মেশিনে পরীক্ষা সঠিক রোগ নির্ণয় রির্পোট পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টেকনিশিয়ান “ নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল” বলে মন্তব্য করেন।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: রোকনুজ্জান বলেন, একটি নতুন এনালগ এক্স-রে মেশিন সহসা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  তবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুকুলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..