নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশ ব্যাপী ব্যাপক বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিদিন রোপন করা হচ্ছে হাজার হাজার গাছের চারা। তবে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী, মুজিব বর্ষেই কতিপয় এলাকার কিছু দুস্কৃতিকারী নির্বিচারে বিক্রি করে যাচ্ছে সরকারি রাস্তার গাছ। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এমনি চাঞ্চল্য কর ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামে।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কেদারপুর গ্রামের সরকারী রাস্তার দু পাশে পরিষদের অর্থায়নের প্রায় ২০ বছর আগে বৃক্ষরোপন করা হয় । গ্রামীন ডাক্তার আব্দুল হাই ও চঁানপাড়া সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া ঈদগঁা মাঠের উন্নয়নের কথা বলে মেহেগনিসহ বিভিন্ন প্রকার ৭-৮টি বিক্রি করেন। গাছ গুলো কিনে নেন পংবাইজোড়া বাজারের সুযোগ সন্ধানী কাঠ ব্যবসায়ী ও স’ মেল মালিক আব্দুস সালাম।
এলাকাবাসী জানান, এর আগেও এই চক্র সরকারী রাস্তার পাশে গাছ কেটে নিয়েছে। ওই সময় সেই গাছ গুলো পংবাইজোড়া বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ও স’ মেল মালিক আব্দুস সালাম কিনে নিয়েছে। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে এই অপকর্ম করে যাচ্ছে।
শাহজাহান ও আ. হাই বলেন, ঈদগাঁ মাঠের উন্নয়ন ও ঋৃণ পরিশোধের জন্য সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকের সাথে আলাপ আলোচনা করে গাছ গুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন (ইঞ্জিনিয়ার) এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন গাছ কাটা ও বিক্রির বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সরকারী রাস্তার গাছ কাটা ও বিক্রি কোন ভাবেই ঠিক নয়।
মামুদ নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটা ও বিক্রয় করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যারা রাস্তার গাছ কেটে বিক্রয় করেছে তাদেরকে এর ফল ভোগ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান বলেন, রাস্তার গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।