শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

নাগরপুরে জমে উঠেনি নৌকার হাট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১
  • ১৫২ বার পঠিত

মো. তোফাজ্জল হোসেন তুহিন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
এবারের বর্ষায় জমে উঠেনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটায় শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট। আষাঢ় মাসে চতুর দিকে থই থই পানি থাকার কথা থাকলেও আষাঢ়ের শেষের দিকেও তুলনা মুলক পানি কম অপর দিকে লকডাউনের কারনে এ বছর হাটে নেই ক্রেতা সাধারন। আর এজন্য এখনও তেমন বাড়েনি নৌকা বিক্রি। এ কারনেই বিপাকে পড়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্ট কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

নাগরপুর উপজেলার এক পাশ দিয়ে যমুনা অন্যপাশ দিয়ে ধলেশ্বরী সহ বয়ে গেছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী। আর এ কারণে বর্ষার শুরু থেকেই নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর এক মাত্র ভরসার যান হলো নৌকা। পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার চোহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এসব নি¤œাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসছে। আর এসব নি¤œাঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র বাহন হয়ে উঠেছে নৌকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়। এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। বড় কয়েকটি নদীতে পানি বাড়ায় ধীরে ধীরে ছোট নদীগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। উপজেলার ভেতর ও আশেপাশের বেশকয়েকটি উপজেলা থেকে নৌকার ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসছে এই শত বছরের পুরানো নৌকার হাটে। নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ মাঠে নৌকার হাট লাগলেও করোনার প্রভাবে তেমন জমে উঠেনি। নৌকার কাঠামো তৈরিতে মেহগনি, কড়ই, আম, চাম্বল এবং রেন্ডি কাঠের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। প্রতিটি নৌকার মান ও আকার ভেদে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

খাষ পুকুরিয়ার হাসেম বলেন, বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া আমাগো চলা ফেরা করার কোনো উপায় নেই। আর সে জন্যই প্রতি এক বা  দুই বছর পর পর এ হাট থেকে নৌকা কিনি। লকডাউনের কারনে এখনো পুরো দমে নৌকার বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় ব্যপারিরা তাদের ইচ্ছে মতো নৌকার দাম চাচ্ছেন।
নৌকা তৈরির কারখানার মালিক মো. শাহাদত বলেন, লকডাউনের জন্য সব জিনিসের দাম বেশি সেই সাথে ঠিক মত পাওয়া যায় না মিস্ত্রী। এ বছর কিছুটা খরচ বেশি হচ্ছে নৌকা তৈরি করতে। এখনো পানি তেমন একটা না হওয়ায় হাটে ক্রেতা আসছে না।
নৌকা ব্যবসায়ী হিরা লাল বলেন, আমি পঞ্চাশ বছর ধরে নৌকার ব্যবসা করি। এবার পানি না হওয়ায় ব্যবসা খুবই মন্দা।

এ বিষয়ে গয়হাটা হাটের ইজারাদার রাজিব আহম্মেদ রাজু বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি এই নৌকার হাটটি। তবে এ বছর একদিকে করোনা অন্য দিকে বর্ষায় পানি না হওয়ায় নৌকা বেচাকেনা কম হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..