নবীগঞ্জে সরকারী ভূমি রক্ষা করছেনা সংশ্লিষ্ট ভূমি প্রশাসন
হবিগঞ্জ
এস কে সুজন
ঐতিহ্যবাহী বরাক নদীর বিশাল চর ভরাট। যুগের পর যুগ ধরে প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে দখল করে বহাল তবিয়তে রয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের শাহাপুর মৌজার জে, এল নং ১২৯, আর, এস দাগ নং ৭২৬ এর ৮ একর নদীর চর ভরাট ভূমি আমুকোনা গ্রামের হাফিজ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, বাছিত চৌধুরী, বজলু চৌধুরী, সেলিম মিয়া, মুক্তার হোসেন, ইলাস, মামদ, আজম চৌধুরী, মুফাজ্জল সহ একদলভূক্ত ধনাঢ্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা লায়েক পতিত সহ বিশাল বরাক নদীর চর দখল করে ঘর নির্মান করে অন্যান্য লোকজনের কাছে বিক্রয় করে আসছে। এমনকি সরকারী জায়গার শতাধিক গাছ কেটে বিক্রয় সহ মাঠি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমি খেকোরা। নদীর চর ভরাটের সাথে যুক্ত মালিকানাধীন রেকডিও অন্যের ভূমিও জবর দখল করে রেখেছে। জবর দখলকৃত ভূমি আর, এস দাগ ৫০০, ৫০৫, ৬৬৮, ৬৪৫ ও ৬৪৬ দাগের ভূমি দখল করে আছে। এসব ভূমি মালিকরা তাদের রেকডিও ভূমি জবর দখল থেকে উদ্ধার সহ সরকার বাহাদুরের নদীর চর ভরাট ভূমির সিমানা নির্ধারন সহ ভূমি উদ্ধারের আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোন কাজ হচ্ছেনা! এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। উপরোন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নির্বিনে বহাল তবিয়ে আছে। সর্বশেষ অভিযোগকারী নবীগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের মোঃ ছাদিকুল ইসলাম গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটির এখনও কোন তদন্ত হয়নি। এ নিয়ে অভিযোগকারী ও স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে আইনের প্রতি অনাস্তা দেখা দিয়েছে। যদি বরাক নদীর চর দখল মূক্ত না হয় তাহলে সরকার হারাবে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্য।
ঐ ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে যে বা যাহারাই প্রতিবাদ করেছে তারা অনেকেই হয়েছেন বাড়ি ঘর ছাড়া!
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ ছাদিকুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শত বছরের পূর্বে থেকে বরাক নদী আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী নদী ছিল। বরাক নদী হয়ে এরাবরাক নদীতে সংযোগ হয়।এই নদী দিয়ে বড় বড় জাহাজ, নৌকা, স্টিমার চলতো। আজ একটি ভূমিখেকো চক্রের কারণে এই নদীটি বিলিন হওয়ার পথে। ঐ নদীতে সরেজমিনে দেখতে গেলে ঐ নদীটি ছোট্ট একটি খাল মনে হয়। ভূমিখেকোরা উক্ত নদীর প্রায় ৮ একর ভূমি সহ আমার শাহাপুর মৌজার জে, এল, নং ১২৯, খতিয়ান ৩০৪, দাগ নং ৫০০, ৫০৫ ও ৪৬৮ দাগভূক্ত ১৬শতাংশ ভূমি সহ পুরো নদীর চর ভরাট জবর দকল করে অবৈধভাবে পায়দা হাছিল করছে উপরোক্ত ভূমিখেকোরা। তিনি আরো বলেন, অনেকের জায়গা এস এ রেকর্ডিয় ভূমি বিগত সেটেলমেন্ট জরিপের সময় ঘুষ বানিজ্যর মাধ্যমে কোন বৈধতা ছারাই আর এস রেকর্ডে নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। শুধুকি তাই যাদের রেকর্ড কাটতে পারে নাই তাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া আর ও নানান অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এছাড়াও মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র সামছুল ইসলাম জানান, প্রভাবশালীরা আমাদের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করার তাদের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালী ভূমিখেকোরা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি অনতি বিলম্বে সঠিক তদন্তপূর্বক অভিযোগটি সমাধান করা প্রয়োজন। এতে জনতা তাদের বিচার পাবে, আর সরকারের এই লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। নতুবা দিনের পর দিন সরকার বাহাদুর হারাবে তার ঐতিহ্য, আর নদী হরাবে তার স্থান।