মোঃ মিজানুর রহমান মানিক ক্রাইম রিপোর্টার নওগাঁঃ
নওগাঁয় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সেচ পাম্প(গভীর নলকূপ) দখলের অভিযোগ উঠেছে। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা শামীম হোসেন এমন অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ভালাইন গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র।
“বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কতৃপক্ষ” (বিএমডিএ) এর রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক বরাবর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু হাসান মন্ডলকে অভিযুক্ত করে দায়েরকৃত ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে বিগত দিনে “খন্ডকালীন অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার” পদে সেচযন্ত্র (গভীর নলকূপ/এলএলপি) এর জন্য নিয়ােগ প্রাপ্ত হন । নিয়াগ প্রাপ্ত হওয়ার পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রকৌশলী এর কার্যালয় মহাদেবপুর, জোন নওগাঁ তাকে দখল বুঝিয়া দেওয়ারও নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি নানা কৌশলগত ও রাজনৈতিক প্রভাবসহ জোরপূর্বক তাকে বেদখল করিয়ে রাখে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিনি মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট-৮৯২৩ নং পিটিশান করেন । বিজ্ঞ উচ্চ আদালত তার পক্ষে রায় এবং বিএমডিএ, মহাদেবপুর জোন, নওগাঁ সহকারী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) মােঃ তারিক আজিজ,৩১/০৮/২৫ ইং তারিখে আদালতের নির্দেশ মাতাবেক তাকে নিয়ােগ প্রদানসহ মেকানিক সহকারী(বিএমডিএ) মােঃ মাহবুব হােসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ান জন্য নির্দেশ দেন। তবে অভিযুক্ত আবু হাসান জোর পূর্বকভাবে বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শ অমান্য করে গভীর নলকুপটি তার দখলে রাখে। পরবর্তীতে দফায় দফায় একাধিকবার তিনি তা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত হাসান ও তার লেকজন দ্বারা ভুক্তভোগীকে হত্যা যখম করার হুকমি দেন।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই কালে স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসীদের সাথে কথা হলে গভীর নলকূপটি নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জোরদখল বা হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে কেউই তেমন তথ্য দিতে রাজি হননি।
এব্যাপারে শামীম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন চাই। আমি উচ্চ আদালতে রিট করে আমার পক্ষে রায় পাওয়ার পরও হাসান চেয়ারম্যান জোর করে গভীর নলকূপটি দখল করে রেখেছেন। এটা অনেক দুঃখজনক ব্যাপার এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের রায়টি দ্রুত কার্যকর হওয়া দরকার। তাছাড়া আমি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহীনি দ্বারা বিভিন্ন সময় আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। আমি বর্তমানে প্রাণনাশের শঙ্কায় আছি।
অভিযুক্ত আবু হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কোন দোষ নেই বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ শান্তির শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নির্দেশ করলেই আমি দখল ছেড়ে দিব।
এবিষয়ে বিএমডিএ, মহাদেবপুর জোন,নওগাঁ এর সহকারী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) মোঃ তারিক আজিজ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে অসম্মতি জানান, তবে বিষয়টি জটিল পর্যায়ে রয়েছে বলে নিশ্চিতসহ সাক্ষাতে আলোচনার প্রস্তাব দেন তিনি।