ধামরাইয়ে ৬ টি এক্সকাভেটর ( ভেক্যু ) জব্দ
লিটন আহমেদ চন্দন,
ধামরাই ( ঢাকা ) প্রতিনিধি:
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে মাদারপুর গ্রামে দিন – রাত সবসময়ই তিন ফসলি ১৫ একর জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইট খোলায় বিক্রি করছে ভূমি দস্যুরা।
বিগত বছরের ন্যায় বর্তমানেও ধামরাই উপজেলায় ১৬ টি ইউনিয়নে সর্বত্র চলছে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে রমজান মাসে দিন দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাটি কাটার ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে। মাটি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই চলছে মারামারি- কাটাকাটি দাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা। তিন ফসলি জমি রক্ষার জন্য মানববন্ধন করেও রেহাই পায়নি সাধারণ কৃষক। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই তিন ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি খেকুর দল। তারা এমনভাবে মাটি কাটে যেন পাশের জমিও কিছুদিনের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে, যাতে করে পাশের জমির মালিকরাও ভূমধ্যসুদের কাছে জমির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। তাদের এহেন কাজে বাধা দিলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। মাটির লিকে সব সময় ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাখে যাতে করে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে না পারে।দিন দিন যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে।
১০ই এপ্রিল দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনীক বালিয়া ইউনিয়নের ওয়াদুদূর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে ধামরাই উপজেলায় ফেরার পথে বালিয়া ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রামে ভূমি দস্যুদের তিন ফসলি মাটি লুটপাটি দৃশ্য দেখে চোখ আটকে যায়, ভূমি দস্যুদের হাতেনাতে ধরতে ছুটে যান। প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে মাটি কাটার মহা উৎসব চলছিল।মাটি খেকুরদল প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেক্যুর ড্রাইভারসহ সকলেই কেটে পড়ে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও পাশাপাশি জমির মালিকরা জানান, মাটি খেকুদের কারণে হয়তো আমাদের জমিও রাখতে পারব না, এমন ভাবে মাটি কাটছে একটু বৃষ্টি ও বর্ষায় আমাদের অর্ধেক জমি ভেঙে পুকুর হয়ে যাবে। আমরা সাধারন কৃষক কিছু বললে আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়, জীবনের ভয়ে কিছু বলতেও পারছি না আবার নিজের জমি রক্ষাও করতে পারছিনা।
এবিষয়ে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, অবৈধভাবে তিন ফসলী জমির মাটি কাটায় বালিয়া ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রামে ০৬ টি এক্সকাভেটর (মাটি খনন যন্ত্র) জব্দ করা হয়েছে। কৃষি জমি সুরক্ষা করতে নিয়মিত আমাদের এই অভিযান চলবে। সেই সাথে ফসলি জমির মাটি কাটার সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দকৃত ভেক্যু বালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতায় রাখা হয়েছে।