শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

ধলেশ্বরী ও মেঘনার পাড়ের মানুষের আতংকের নাম বাবলা ডাকাত আবারো বেপরোয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ২৭০ বার পঠিত

 

সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি জেলা  প্রতি‌নি‌ধি মুন্সীগঞ্জ 
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী বাংলাবাজার ও আধারা ইউনিয়নের মানুষের মূর্তিমান আতংক দুর্ধর্ষ ডাকাত বাবলা চৌধুরী ওরফে উজ্জল খালাসী ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে ডাকাতি কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনার বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন কে সুযোগে নিয়ে নৌ পথ ও বাংলাবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও চাদাঁবাজি করছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলার আসামী ডাকাত বাবলা পার্শবর্তী চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। বর্তমানে কৌশলে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে বাংলাবাজার ইউনিয়নের আশুলিরচর পশ্চিমকান্দি তার নানা সাবেক মেম্বার নুর ইসলাম, মামা বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন বেপারী ও নিখিল বেপারীর বাড়িতে যাতায়াত করছে। সেখানে অবস্থান নিয়ে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে ডাকাতি কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এর আগে গত বছর ১৯ অক্টোবর সোমবার সদরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার মামা ও নানার সহযোগিতায় জামিনে বের হয়ে বর্তমানে বাবলা ও তার সহযোগিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মেঘনা তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্ধা এবং নৌপথের চলাচলকারী নৌযান চালক ও যাত্রীরা বাবলা বাহিনীর আতংকে থাকে। বাবলা বাহিনী ও তার দলের সদস্যরা মেঘনা নদীতে স্পিড বোড ও ট্রলার দিয়ে ডাকাতি করে। বাবলা জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসা ও  মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শাহ সিমেন্ট সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে বুধবার দিবাগত রাত পোনে তিনটার দিকে নোঙ্গর করা জাহাজে ডাকাতি হয়েছে। ‘এমভি- ইয়াছিন আরাফাত-২’ নামে শাহ্ সিমেন্টের ক্লিংকারবাহী জাহাজ থেকে ডাকাত বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা জাহাজের মাষ্টার ও স্টাফদের হানা দিয়ে অর্ধ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাহাজের মাস্টার মো. মিলন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে এমভি ইয়াছিন আরাফাত-২ নামের জাহাজের মিলন মাষ্টার অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামের সিডম থেকে নিয়ে আসা শাহ্ সিমেন্টের কাচাঁমাল (ক্লিংকার বাহী) আমাদের জাহাজটি শাহ সিমেন্ট সংলগ্ন নদীতে নোঙ্গর করা ছিলো। গতকাল দিবাগত রাতে একটি সাদা রঙ্গের দুই ইঞ্জিন বাহী একটি স্পিড বোডে করে সশস্ত্র ২০ জন ডাকাত জাহাজে হানা দেয়। ডাকাতরা জাহাজে উঠেই এলোপাথারি মারধর করতে থাকে। পরে জাহাজের ১২ জন স্টাফদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৩০ হাজার টাকা, মোবাইলের বিকাশে ১২ হাজার, স্টাফদের কাছে থাকা ১৫,৫০০ টাকা এবং ২ টি মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়াও জাহাজের মালামালের চালান সহ অন্যান্য কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, একই সময় নোঙ্গর করা আরো বেশ কয়েকটি জাহাজে ওই ডাকাতরা হানা দেয়। জাহাজের ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাবিকরা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..