স্টাফ রিপোর্টার জসীমউদ্দীন ইতি
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুক্তির দাবির আন্দোলন
চরম সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে এবার
মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার দেশটির কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশের ডারবান মসজিদে এই অগ্নিসংযোগের
ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে মসজিদে আগুন দিয়েছে তা এখন
পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডারবানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর এলাকাটিতে মসজিদের পার্শ্ববর্তী আরও একটি ভবনে
আগুন দেয়া হয়েছে।
গতকাল থেকে মসজিদে অগ্নিসংযোগের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষ প্রতিক্রিয়া
জানাতে শুরু করে।
তারা বলছেন, অবশ্যই সাম্প্রদায়িক এসব হিংসাত্মক তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে
দাঁড়ানো উচিৎ। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষকে একত্রিত
হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
এ দিকে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে দেশটির
জোহান্সেনবার্গ, ডারবান ও প্রিটোরিয়া এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল বাড়ানো
হয়েছে। চলমান সংহিতায় এই পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ছয়জন মারা গেছেন।
গত ২৯ জুন জ্যাকব জুমাকে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেন।
রায়ে পাঁচদিনের মধ্যে যে কোনো থানায় তাকে আত্মসমর্পণ করার সময় বেঁধে দেয়া
হয়। এরপর গত ৮ জুলাই তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে
পাঠান।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি দল আফ্রিকান ন্যাশনাল
কংগ্রেসের (এএনসি) প্রধান ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন জ্যাকব জুমা। ক্ষমতায় থাকা
অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর তিনি দল ও রাষ্ট্র
প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বর্তমান তার বিরুদ্ধে অনিয়ম,
ঘুষ ও দুর্নীতির ১৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে