জসীম উদ্দিন ইতি
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা
ঊর্ধ্বমুখীতেই থাকছে। অদৃশ্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৫৫ জনে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার
২৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ২৬ হাজার
২৫৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার ২৩৭, মঙ্গলবার ২৫৮, সোমবার ২৪৭, রোববার ২২৮, শনিবার ১৯৫ ও
শুক্রবার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায়
মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ
হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০
জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৮২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে
৫২ হাজার ২৮২টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। দেশে এ
পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০টি। মোট
পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৩ জন পুরুষ এবং ১১৬ জন নারী। এ
পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৭৫০ জন এবং
নারী ৬ হাজার ৫০৫ জন। এদের মধ্যে ১৫ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা
হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে
৫৭, রাজশাহীতে ১৩, খুলনায় ৪৫, বরিশালে ১৪, সিলেটে ১৪, রংপুরে ১১ ও
ময়মনসিংহে ৯ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১
থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ১, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৪, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৪৩, ৬১
থেকে ৭০ বছরের ৬৫, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৬, ৩১ থেকে ৪০
বছরের ১৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৪, ১১ থেকে ২০ বছরের ৩ এবং শূন্য থেকে ১০
বছরের এক শিশু মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০
দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।