দেওয়ানগঞ্জ প্রশাসনের নীরব ভুমিকায় বোর্ডিংয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা
বাকিরুল ইসলাম: জামালপুর প্রতিনিধি,জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জের পৌরসভা ঢালবাড়ী কলেজ রোড় এলাকায় বেলাল (৫৫) পিতা: মৃত গফুর আবাসিক বোর্ডিং ব্যবসার অন্তরালে রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়েসর নারী পুরুষদের আনাগোনা হয়ে থাকে এ বোর্ডিংয়ে। বোর্ডিংয়ে একচ্ছত্রভাবে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ আইন-শৃক্সখলা বাহিনী কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা কলেজ রোড় ঢালবাড়ী এলাকায় গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী মালিকানাধীন গড়ে উঠে বেলাল আবাসিক বোর্ডিং নামের একটি আবাসিক হোটেল। এই আবাসিক বোর্ডিংটি গড়ে উঠার পর পরই শুরু হয় অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ও দেহ ব্যবসা। প্রতিদিন বাহির থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী এনে বোর্ডিংটিতে চলে অবৈধ দেহ ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঢালবাড়ী গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, ঢালবাড়ী মতো একটি ঐতিহাসিক ও পবিত্র স্থানে আবাসিক হোটেল গড়ে তুলে অবৈধ দেহ ব্যবসা তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আর প্রশাসন সব কিছু জেনেও কেন কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাও বুঝতে পারছি না। আমাদের স্কুল কলেজ পড়–য়া ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। চোখের সামনে এভাবে দেহ ব্যবসা চলতে থাকলে একদিন তারাও বিপদগামী হতে পারে। তারা আরও দাবি করেন, পুলিশ অভিযান নয়, এগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। কিছু বহিরাগত লোক ঢালবাড়ী প্রবেশ করে আবাসিক হোটেল গড়ে তুলে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এটা কোন ভাবেই আমার মেনে নিতে পারছিনা।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় পতিতাবৃত্তি করে থাকে। এবিষয়ে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার কোন সাহস পায় না। এতে করে সমাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, বিপথগামী হচ্ছে সমাজের মা-বোন ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা।
(১৬ জুলাই সোমবার ) বেলাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি ১২ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গা মেয়ে নিয়ে দেহ ব্যবসা করে আসিতেছি।
আর এ সকল কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকে বাড়ির কেয়ারটেকার বা পাহাড়াদাররা এবং স্থানীয় এলাকার প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, এসব পতিতারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের খদ্দেরদের নিকট থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মারধর করে জোরপূর্বক সব টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
বিষয়টি দেওয়ানগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির জানালে তিনি বলেন, বেলাল আবাসিক হোটেলের দেহ ব্যবসা করে সেটা আমি জানি, মাঝে মাঝে সেখানে যেয়ে আমরা অভিযান চলাই এবং ধরা চেষ্টা করি।