দেওয়ানগঞ্জ তিন ব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু
মো: বাকিরুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জেলা পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে আজ। উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের পুল্যাকান্দি ব্রিজের নিচে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আঞ্চলিক ইজতেমা। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের মুসল্লিগণ যোগ দিয়েছেন। প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলেও এবছর তাবলীগ জামাতের সুরা কমিটির নেতৃবৃন্দ দেওয়ানগঞ্জে ইজতেমার স্থান নির্ধারণ করেন। ইজতেমা ঘিরে গত দুই দিন থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা সমবেত হচ্ছেন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার পোল্যাকান্দি ব্রহ্মপুত্র নদের পারে আয়োজিত ইজতেমার উদ্বোধন করেন স্থাানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাকিরুজ্জামান রাখাল ও তাবলীগ জামাতের সুরা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৈশ্বিক মহামারীর কথা মাথায় রেখে স্বাস্থবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইজতেমা।জানা গেছে, আজ ১৩ জানুয়ারী ইজতেমার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। চলবে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত। এজতেমা শুরুর কয়েকদিন আগে থেকে এজতেমার সার্বিক ব্যবস্থাাপনার কাজ শুরু করে আয়োাজক কমিটি। প্রথম দিন থেকেই হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে এজতেমায়। আগত এসব মুসল্লিগণের তিন দিন থাকা খাওয়াসহ নিত্য প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাা করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর আগত মুসল্লিগণের পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থাায়ী বাঁশ ও কাঠের মজবুত সেতু। আগত মুসল্লিগণ খাবার তৈরির জন্য বাসন-কোসন, চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং থাকার জন্যে বিছানাপত্র নিজেদের দায়িত্বে এনেছেন। নিজেদের খাবার নিজেরাই রান্না করছেন। এজতেমার পাশে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান পাটও বসেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চল্লিশটি জামাত এ এজতেমায় এসে অংশ গ্রহণ করেছেন। এসেছেন স্থাানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষও। কাকরাইল মার্কাস থেকে আগত দেশবরেণ্য আলেম ওলামাগণ পর্যায়ক্রমে বয়ান করছেন। আলেম ওলামাগণের বয়ান ও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে এজতেমা প্রাঙ্গন।
ইজতেমায় আগত তাবলীগ জামাত নিজাম উদ্দিন অনুসারী জামালপুর সূরা কমিটির ফয়সাল (নেতা) মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, ইজতেমা আয়োজনে নেতৃস্থাানীয় ব্যক্তিবর্গ যথেষ্ট সহযোগিত করেছেন। তারা এর ব্যয়ভার বহনে কারো কাছ থেকে কোন চাঁদা নেওয়া হয়নি। প্রথম দিনই ইজতেমায় আশানূরুপ মুসল্লিদের আগমণ ঘটেছে। আখেরী মোনাজাত অব্দি মুসল্লিদের সংখ্যা আরো দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা জানান, পোল্যাকান্দি ব্রহ্মপুত্রের তীরে অনুষ্ঠিত জেলা এজতেমাটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ অঞ্চলে ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হয়েছে। এজতেমায় স্বাস্থ্যা বিধি মেনে ধর্মীয় বয়ান শুনছেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ।