দেওহাটা পশুর হাট পায়নি উন্নয়নের ছোঁয়া

আনোয়ার হোসেন( স্টাফ রিপোর্টার)

টাঙ্গাইল মির্জাপুরে ১৪ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেওহাটা পশুর হাট । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বৃষ্টি হলে প্রতিটি রাস্তা কাঁদা-পানিতে সয়লাব এবং পশুর হাটে জলাবদ্ধতা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী।
ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসাএবং হাট বাজারে আসা কয়েকজন জন এলাকাবাসী জানান, দেওহাটা পশুর হাট ও বাজারটি অনেক পুরনো ও এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাট ও বাজারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় প্রতি দিন হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হয়। এখানে প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বিশাল একটি পশুর হাট বসে। বাজার বসে নিয়মিত প্রতি দিন । একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে গরুর হাট ডুবে যায়। গরুর হাটে টাঙ্গাইল, ভুয়াপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারিরা ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন গরু ক্রয় ও বিক্রয় করার জন্য আসে। এছাড়া বসে নিয়মিত কাঠের হাট। । হাটের পাশেই রয়েছে পৌরসভা ও গোড়াই ইউনিয়ন দুটি ভূমি অফিস,১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি পুলিশ ফাঁড়ি, বেশ কয়েকটি মসজিদ-মাদ্রাসা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক।
প্রতি বছর সরকার এই হাট থেকে ইজারা দিয়ে রাজস্ব পেয়ে আসছেন। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও গুরুত্বপূর্ণ এই হাটের রাস্তা-ঘাটের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। একটু বৃষ্টি হলে কাঁদা-পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী পড়ে।
এ ব্যাপারে দেওহাটা ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর এই হাটের সরকারি রাজস্ব আয় বাড়ানো হয় কিন্তূ হাটের উন্নয়ন বলতেই কিছুই হচ্ছে না। রাস্তায় কাঁদা পানি জমে করুন দশা। রাস্তার উন্নয়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। একটু বৃষ্টি হলেই গরুর হাট পানিতে তলিয়ে যায়। চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শেষ নেয় । তিনি আরো বলেন হাটের সীমানা প্রাচীর মাটি ভরাট ব্যাপারীদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরা লাগানো সহ হাটের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবী জানান । হাট কর্তৃপক্ষ এই দাবির সাথে একমত পোষণ করে বলেন প্রশাসন ও সরকার এই পশুর হাটের দিকে সুদৃষ্টি দিয়ে উন্নয়ন করবেন এই আশা এলাকাবাসী ।