দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠে একসাথে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপন
এসএম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
আজ রবিবার ০১-০৬-২৫ইং সকাল ১০.১৫ টায়
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ ও সম্মেলন কক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন জনাব আবু ফজল মোঃ মশিউর রহমান। জনাব আব্দুল ওয়ারেস আনসারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রাণী সম্পদ দপ্তরের জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন, বিভিন্ন দুগ্ধ খামারী বৃন্দ,বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিপাদ্য বিষয়” দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠে একসাথে ” এই প্রতিবাদ্য নিয়ে আজকের কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। ‘দুধ না খেলে বাড়ে রোগের গতি,দুধে নাই কোন ক্ষতি’।
২৩৯৮ লক্ষ মেট্টিকটন দুধের চাহিদা আছে, উৎপাদন হচ্ছে ২৩৬২ লক্ষ মেট্টিকটন। ০০.৩৬ লক্ষ মেট্টিকটন ঘাটতি আছে। আমাদেরকে ঘাটতি পূরণ করতে হবে।।প্রধান অতিথি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন দুধ উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। বহির্বিশ্বের কাছে নির্ভর করে থাকলে হবে না। আমাদেরকে আরো খামারি বাড়াতে হবে। প্রতি গরু থেকে বিদেশিদের মতন দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ওরা যদি পার গরু থেকে ৪০ কেজি দুধ উৎপাদন করতে পারে আমরা কেন পারব না। আমাদেরও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করতে হবে উন্নত প্রজাতীর গরু পালন করতে হবে। দুধের কোন বিকল্প নাই দুধ হচ্ছে মহাশক্তি।প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার দুধ জাতীয় খাদ্য আমদানি করতে হয়। এটা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে আমাদের নিজেদের দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। আমাদের দেশের খাদ্যের চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে। আমরা বড় নির্ভরশীল হয়ে আর কতদিন থাকবো তাই নিজেদেরই নির্ভরশীল হতে হবে নিজর দেশের উপর। তাই আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ ডেইরি ফার্ম নির্মাণে ও গবাদি পশু পালনে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।এক সময় প্রতি বাড়িতেই গরু পালতো সবাই কিন্তু এখন এটা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের চাহিদাতে দুধ অত্যাবশক এবং খুবই প্রয়োজনীয় খাবার। এটা খেলে শরীর বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি মেধা বুদ্ধি জ্ঞান সমস্ত কিছু বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদের সবাইকে দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।এ সময় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।