দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কিসমত ফতেজংপুর এর বাসিন্দা নূর ইসলাম কতৃক মিথ্যা ধর্ষন মামলা করে হয়রানির অভিযোগ এলাকার বাসীর।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কিসমত ফতেজংপুর এর বাসিন্দা নূর ইসলাম (৪৫), পিতা মৃত্যু- আব্দুস সোবান প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল দিনাজপুর ( সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে বাদী হয়ে মিলন ইসলাম, মামুন ইসলাম, মোছাঃ পারভীন আক্তার এবং শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাস্তি যোগ্য ৭/৯(১)/৩০ তৎপর দঃ বিঃ ৩২৩/৩৮৬/৫০৬(।।) ৩৪দঃ বিঃ ধারার একটি নারী ও শিশু মামলা করেন। মামলা নং- নারী ও শিশু নং ৭৯৫ /২০২১। জানা যায় বাদী নুর ইসলাম ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এই মিথ্যা মামলা করেন।
এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ সাংবাদিকদের জানান, নুর ইসলাম সহ তার ভাইয়েরা নিজেদের মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে প্রথমে ছেলেদের সাথে কথা বলায়, প্রেম নিবেদন করায় পরে দুর্নামের ভয় দেখিয়ে সেই সব ছেলে ও ছেলের পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এলাকাবাসী জানান- মেয়ের বাবা নুর ইসলাম, মেয়ের চাচা একরাম ও জয়নুল
তাদের নিজেদের মেয়েকে একই ভাবে লেলিয়ে দিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে জিম্মি করে টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করেন। যা স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিল সহ এলাকাবাসী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায় নূর ইসলাম এর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন ও মিলন এর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিষয়টি জানা জানি হলে মেয়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ছেলের কাছে চলে যায়। পরে তারা ইসলামী শরিয়াহ আইন অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মেয়ে পক্ষ অনেক খোজাখুজি করার পরেও মেয়েকে না পেয়ে ছেলের মামাদের বললে তারা সকলে খোজ নিয়ে দেখে মেয়ে পালিয়ে ছেলের কাছে গেছে এবং তারা বিয়ে করেছে।
মেয়ে বিয়ে করায় নুর ইসলাম কিছুটা নমনীয় হয়ে এর সমাধান করার চেষ্টা করে। ছেলে মিলন ও মেয়ে সুমাইয়া উভয়ে নাবালক হওয়ায় রেজিষ্ট্রিঃ বিয়ে দেয়া সম্ভব নয় তাই নুর ইসলাম এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহায়তায় সকলের উপস্থিতিতে একটি আপোষ নামা করে যাহাতে মেয়ের বাবা নুর ইসলাম, মেয়ের চাচা জয়নুল সহ স্থানীয় কয়েকজন তিনশত টাকা স্টাম্পের আপোষ নামায় স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা নুর ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানন, যেহেতু আমার মেয়ে নাবালিকা তাই রেজিস্ট্রিঃ বিয়ে সম্ভব না হওয়ার আমি এই আপোষনামা করি, যাতে ভবিষ্যতে আমার মেয়ের কোন ক্ষতি না হয়।
এ প্রসঙ্গে মসজিদ কমিটির সভাপতি শওকত মুন্সি সাথে কথা বললে তিনি জানান, উভয় পক্ষের সুবিধার্থে ছেলে ও মেয়ের বয়স পূর্ণ হলে তাদের বিয়ে কাজী মারফতে রেজিস্ট্রার করে রাখা হবে। তবে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়ার স্থানীয় দশের নির্দেশে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হয় । মেয়ের বাবা নূর ইসলাম ও মেয়ের চাচা জয়নুল সহ এলাকাবাসী উক্ত তিনশত টাকা স্টাম্পের আপোষ নামায় স্বাক্ষর করিয়াছে ।
ছেলে পক্ষে উকিল বাবা আমিরুল ইসলাম সাথে কথা বললে তিনি ও জানান, আমি সংশ্লিষ্ট থানার এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে বলেন।পরে কয়েক দফা কথা বলার পর মেয়ের বাবা নুর ইসলাম তাদের সম্পর্কে স্বীকার করে নেয়। মেয়ে
নাবালিকা হওয়ার স্থানীয় দশের মাধ্যমে একটি আপোষ নামা করিয়ে নেয়। মেয়ের বিয়েতে তাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে নুর ইসলাম তার নিজের বাড়িতে ছোট খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে। পরে পুনঃরায় মৌলভি ডেকে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
এলাকার দশের লোক তথা মসজিদের মুসল্লিহ সহ এলাকার অন্যান্যদের সাথে বথা বললে তারা জানান, আমরা নুর ইসলাম এর মেয়ের বিষয়ে আপোষ নামা করা সহ স্থানীয় ভাবে বিয়ের বিষয়ে জানি। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই আপোষনামা করার সময় ও বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম। তাই নুর ইসলাম যে ধর্ষণ মামলা দিয়েছে তা ভিত্তিহীন। তারা আরও বলেন, নুর ইসলাম এর পরিবার তাদের মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের বেকায়দায় ফেলে টাকা দাবি করে। পরে টাকা নিয়ে আপোষ মিমাংসা করে। তার আরো দুই ভাই একই ভাবে মেয়েকে নিয়ে অর্থ উপার্জন করেছেন। এখন নুর ইসলাম সেই চেষ্টায় লিপ্ত।
৬ নং ওয়াড ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, নুর ইসলাম এর মেয়ের এই বিষয় সম্পর্কে আমি অবগত, তাদের আপোষ নামা সহ বিয়ে সবকিছুই আমি জানি, দশের সিদ্ধান্তের সাথে আমি এক মত৷ তিনি বলেন, একদিন মেয়ে সুমাইয়ার বাবা নূর ইসলাম আমাকে মোবাইল ফোনে ডাকে আমার বাসায় আসেন ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মেয়ের বাসায় আসেন। নূর ইসলাম একটি ৩০ পারা কোরান শরীফ হাতে নিয়ে বলেন মেম্বার এই যে আমার হাতে কোরান শরীফ আমি মেয়েকে আর ওইখানে পাঠাবো না তখন নূর ইসলামকে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন আপনার মেয়ে সুমাইয়া স্বামীর বাড়ী যাওয়ার ৮ দিন পর আবার কি করে বাদ দেওয়া যাবে । কিন্তু মেয়ের বাবা নূর ইসলাম বলেন আমি আমার মেয়েকে সেচ্ছায় নিয়ে নিব। আপনি ছেলেকে তার অভিভাবকদের দিয়ে দেন। আমি এ বিষয়ে মামলা দায়ের বা হয়রানি করবো না। ঘটনা কয়েক দিনের মধ্যে শুনি নুর ইসলাম তাদের জামাই মিলন ইসলাম সহ নামুন ইসলাম, মোছাঃ পারভীন আক্তার এবং শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মিলন নাকি সুমাইয়াকে ধর্ষন করেছে এবং এতে মামুন ইসলাম সহ সকলে সহযোগিতা করেছে। মামুন ইসলাম বাহিরে লেখাপড়া করে। সে দীর্ঘ দিন যাবত বাহিরে লেখাপড়া করছে। সে কিভাবে সহযোগিতা করলো, তাছাড়া যার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়েছে সে তো নুর ইসলাম এর জামাই। নুর ইসলাম এর ইচ্ছায় স্থানীয় লোকজন আপোষনামা করা সহ নতুন করে মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছে। তাই ধর্ষণের কোন প্রশ্নই ওঠে না।