দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দির হতে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ রাজ পরিবারে ৪ সেপ্টেম্বর ২৩ রোজ সোমবার দিনাজপুর জেলা শহরে আসিতেছে ===========
============================================দিনাজপুর প্রতিনিধি নারায়ণ রায় (নয়ন)
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ রাজ পরিবারের প্রথা অনুযায়ী আসছে আগামী ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার নৌপথে জেলা শহরের রাজবাড়ীতে এসে পৌঁছুবে। সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যার পূর্বেই নৌকাযোগে দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে দিনাজপুর শহরের সাধুঘাটে এসে পৌঁছুবে বলে জানা গেছে। পরে বিগ্রহটি শহরের বিভিন্ন মন্দিরে পুজা-অর্চনা শেষে রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী কান্তজিউ মন্দিরে স্থাপন করা হবে। বিগ্রহটি দিনাজপুর শহরে পৌঁছার পর বাজবাড়ীতে যাওয়ার পথে বিগ্রহ দেখার জন্য কাঞ্চন ঘাটে, চাউলিয়াপট্টি মোড়, ডাবগাছ মসজিদ মোড়, ঘাসিপড়া বটগাছ মোড়, মডার্ণ মোড়, চারুবাবুর মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে ও রাস্তার দু’পাশে হিন্দু-মুসলিমসহ হাজার হাজার উৎসুুখ জনতা ভীড় জমাবেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কাহারোলের ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে পূজা অর্চনা শেষে কান্তজীউ বিগ্রহটি ঢেপা নদীর কান্তনগর ঘাট হতে বিশাল নৌবহর নিয়ে দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। দিনাজপুর আসার পথে সনাতন (হিন্দু ধর্মাবলম্বী) হাজার হাজার ভক্ত নদীর দু’পাড়ে কান্তজীউ বিগ্রহটিকে দেখার জন্য ভীড় জমাবেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পূণ্যার্থীরা শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহকে উৎসর্গ করতে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, দুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদী নিয়ে আসবেন। এ সময় নদীর দু’পাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভীড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। সৃষ্টি হবে উৎসব মূখর পরিবেশ। এদিকে কান্তনগর ঘাট থেকে দিনাজপুর শহরের সাধুরঘাট পর্যন্ত ৩০টি ঘাটে কান্তজীউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানো হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন ঘাটে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। প্রতিটি ঘাটেই পূর্ব থেকে পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে। সন্ধ্যার পূর্বেই কান্তজীউ বিগ্রহটি দিনাজপুর শহরের সাধুঘাটে এসে পৌঁছুলে দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এষ্টেটের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিগ্রহটি গ্রহণ করবেন। পরে বিগ্রহটি শহরের বিভিন্ন মন্দিরে পুজা-অর্চনা শেষে রাজবাড়ী কান্তজিউ মন্দিরে স্থাপন করা হবে। রাজ পরিবারের রীতি অনুযায়ী কান্তজীউ বিগ্রহ বছরের ৯ মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং বাকী ৩ মাস দিনাজপুরের শহরের রাজবাড়ীতে অবস্থান করেন। সেই প্রথা অনুযায়ী যুগযুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে।
আপনারা সকলে আমন্ত্রিত