মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

তৃণমূলে জনপ্রিয়তাই সুলতান মৃধার শক্তি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭৪ বার পঠিত

তৃণমূলে জনপ্রিয়তাই সুলতান মৃধার শক্তি

 

আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাতে চান একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা। পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কখনো পৌর চেয়ারম্যান আবার কখনো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

তিনি ছাত্রজীবন থেকে এ পর্যন্ত শক্ত হাতে আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছেন এবং দলের প্রতি তাঁর ত্যাগ ও আন্তরিকতার কারণে সুলতান আহমেদ মৃধা একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম এবং নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি পিছু হটেননি এবং মাথা নত করেননি কারও কাছে। হারাতে হয়েছে তাঁর বড় ছেলে জেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা শহীদ মাহামুদুল হক পলাশ মৃধাকে।

 

তারপরও তিনি দমে যাননি। দলের যে কোনো কঠিন ও দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দলকে টিকিয়ে রাখতে মাঠের রাজনীতিবিদ হিসেবে সবার কাছে একজন নির্ভরযোগ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে দলীয়ভাবে সন্তানহারা পিতা অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধাকে পুরস্কৃতও করেন দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই পুরস্কার হিসেবে দশম জাতীয় সংসদে তাঁর সহধর্মিণীকে করা হয়েছিল সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধা বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়াও তিনি শহরের ৪০টি সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মৃধা ১৯৯৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময় বরিশাল বিভাগের ছয়জন পৌর চেয়ারম্যানের মধ্যে তিনিই একমাত্র আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বাকি পাঁচজন বিএনপিদলীয় পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

তিনি ছয় বছর (১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত) পৌরসভা চেয়ারম্যান থাকাকালীন পটুয়াখালী পৌর শহরে বিদ্যুৎ, ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশনের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন।

 

তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে পটুয়াখালী শহরের ল ঘাট সংলগ্ন পৌর মার্কেট নির্মাণ করেন। পৌর নিউ মার্কেটের দ্বিতল ভবন ও মার্কেটের সম্প্রসারণ করে মাত্র ২ হাজার টাকা পৌর কোষাগারে জমা রেখে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে হস্তান্তর করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে এমএসপি প্রকল্পের আওতায় নতুন বাসস্ট্যান্ডসহ একাধিক সড়ক ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেন। এ ছাড়াও শেরেবাংলা পাঠাগার ও শেরেবাংলা টাউন হল যা কেরিডিয়ান মার্কেট খুলনার আওতায় ছিল সেগুলো ক্যাবিনেট ডিভিশনের হস্তক্ষেপ থেকে নিজস্ব চেষ্টায় পৌরসভার আওতায় নিয়ে আসেন তিনি।

 

যার মাধ্যমে পৌরসভার নিজস্ব আয়ের উৎস হয়। এ জন্য তিনি পৌরসভা চেয়ারম্যান হিসেবে পৌরবাসীর কাছে উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিত। প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একাধিক পদকপ্রাপ্ত হন।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সুলতান আহমেদ মৃধার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনীর কারণে দশম জাতীয় সংসদে তাঁর সহধর্মিণী মিসেস লুৎফুন নেছাকে প্রধানমন্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন।

 

তিনি পাঁচ বছর সংসদ সদস্য থাকাকালীন এলাকার মসজিদ, মন্দির, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..