তিস্তা বাইপাস এ ব্যবহার হচ্ছে নৌকা
নুরুজ্জামান সরকার, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার সীমান্তে অবস্থিত বাংলাদেশের বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ। হটাৎ ভারতের পাহাড়ি ঢলে বুধবার (২০- অক্টোবর) প্রথম প্রহরে পানি বাড়তে শুরু করলে হুমকির মুখে পড়ে তিস্তা ব্যারেজ।
বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় পানির গতিসীমা ডিমলার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও হাতীবান্ধার দোয়ানি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্লাবিত হয় এবং তিস্তার বাইপাস রাস্তাটি উপর দিয়ে প্লাবিত হয়ে ভেঙ্গে যায়।এতে করে ভোগান্তিতে পড় জনসাধারণ।মুহূর্তেই বন্ধ হয়েছিল নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বুধবার বিকাল থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে স্থানীয় নেতাকর্মী ৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে ডাক করে নেন এবং নৌকা দিয়ে শুরু হয় পারাবার।কিছু পানি থাকলেও ২১ অক্টোবর (বৃস্পতিবার) আবার শুকিয়ে যায় পানির গতিসীমা।
আজ রবিবার বাইপাস ভেঙ্গে যাওয়ার পঞ্চম তম দিন ঘটনা স্তলে গিয়ে দেখা যায় পানির শুকাচ্ছে।
অপর দিকে নৌকা চলাচলেও মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে গভীরতা কম থাকায়।এছাড়াও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে পার হতে হয়।
নৌকায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারি ইউনিয়ন এর ১,২ ও ৩ নং এর জনসাধারণ এর জন্য বিনামূল্যে করা হয়েছে। সাধারণ যাত্রী দের জন্যপ্রতি ১০ টাকা এবং মোটর সাইকেল পারাপারের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।পানি শুকিয়ে গেলেও বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে ১ মাস টোল ব্যবহার করে পরিচালনা করা হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অপর দিকে এলাকাবাসি ও জনসাধারণ এর দাবি এই ভোগান্তি দুর করতে দ্রুত এই বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু করা হোক। তাহলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং মানুষ কম সময়ে প্রয়োজনীয় স্থানে পৌঁছাতে পারবে।