তিস্তার ভাঙ্গঁনে আতঙ্কিত ২০ হাজার মানুষ
ভাঙ্গছে নদী, কাঁদছে মানুষ। নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ি ২ নম্বর স্পার বাঁধে। এতে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকাগুলো। এই বাঁধঁটি বিলীন হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ হারাবে তাদের বসতভিটা।
বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধটির প্রায় দেড়’শ মিটার ভেঙ্গে যাওয়ায় তিস্তার নতুন চ্যানেল তৈরি হয়েছে। এর ফলে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে।
ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিস্তায় কয়েক দফা পানি বৃদ্ধির ফলে ভেন্ডাবাড়ি চর প্লাবিত হয়ে আছে মাস খানেক ধরে।
স্পার বাঁধটি ঘিরে চারটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। তারা এখন সবাই আতঙ্কে রয়েছে। সেখানে থাকা কুটিপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে পানি প্রবেশ করেছে। সেখানে বসবাসরত ৩০ পরিবার অবস্থান করছেন উঁচু স্থানে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, বাঁধটি ঘিরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ টিকে আছেন। ভাঙ্গন ধরায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব মানুষ। রবিবার রাত থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে । দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বাঁধটি যুগোপযোগী করে কার্যকর করা এবং তিস্তা এলাকার মানুষদের বাঁচাতে তিস্তা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, বাঁধটি রক্ষায় আমরা চেষ্টা করছি। দেড়’শ মিটারের মতো ভেঙে গেছে। যার কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।