মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের ভেতরের মানুষের যেন মুক্তি নেই জলাবদ্ধতা থেকে।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১
  • ১৭০ বার পঠিত

 

বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউল হোসেন জুয়েল। 

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের ভেতরের মানুষের যেন মুক্তি নেই জলাবদ্ধতা থেকে। বর্ষা মৌসুমে জলাবব্ধতার প্রকট কৃত্রিম বন্যায় রূপ নেয়। বতর্মানে পানিবন্দি হয়ে আছে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু জলাবব্ধতার অভিশাপ থেকে ডিএনডিবাসীকে মুক্তি দিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকিরণসহ সার্বিক উন্নয়নে একটি প্রকল্প পাশ করে সরকার। নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যক্রমও শুরু হয়। কিন্তু এখনো সুফলতার মুখ দেখেনি ডিএনডিবাসী। গত বছরের জুনে এই প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো উচ্ছেদ হয়নি ২৭ শতাংশ অবৈধ স্থাপনা। ফলে কবে নাগাদ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পানিবন্দি মানুষের মধ্যে।  তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে অবৈধ স্থাপনা অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ ছাড় না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে ডিএনডি প্রকল্পের কার্যক্রম।

সূত্রমতে, ডিএনডির ৪৮৪ একর ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে  প্রকল্পের আওতাধীন ডিএনডির নিজস্ব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪০ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক জটিলতা রয়েছে। সামাজিক স্থাপনা ১০টি স্কুল, ১৮টি মসজিদ, ১টি মন্দির, ৬টি মাদ্রাসা সহ রয়েছে ৩টি পেট্রোল পাম্প ও পাম্প হাউজ, কোনাপাড়া পুলিশ ফাড়ী ও শনির আখরা আওয়ামীলীগ অফিস। অবৈধ এসকল স্থাপনা উচ্ছেদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। এর আগে, প্রথম ধাপে ২০১৬ সালে একনেকের সভায় ডিএনডি প্রকল্পের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্প পাস হয়। পরবর্তীতে ডিএনডি এলাকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধনী)’তে  বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রম চলাকালীন প্রায় সাড়ে ৩ বছরে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৫০.৬৫ শতাংশ

এদিকে অর্থ সংকটে পড়েছে ডিএনডি প্রকল্প। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ প্রকল্প বাবদ ৩৫০ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ের কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হলেও ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা থাকলেও অর্থ সংকটে অধিকাংশ চলমান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। কার্যক্রম চলাকালীন প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৪১.৫৫ শতাংশ। প্রকল্পে সম্পাদিত ১০ শতাংশ কাজের বিল যার অর্থমূল্য ১১৮কোটি ২৯ লক্ষ টাকা এখনো পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারগণ বিল না পেয়ে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে। এছাড়াও  প্রকল্পের অর্থ বরাদ্ধ না পাওয়ায় প্রকল্পের বিদ্যমান উপযোগসমূহ স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের খাল পুনঃখননসহ আরসিসি ব্রীজ, কালভার্ট ও ক্রস ড্রেনের নির্মাণ কাজ ব্যহত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..