সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

ডিসির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবী মট্টোরেল বাস্তবায়নের পথে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১১ বার পঠিত

ডিসির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবী মট্টোরেল বাস্তবায়নের পথে

এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

 

নারায়ণগঞ্জবাসীর সর্বশ্রেনীর প্রাণের দাবী হচ্ছে এমআরটি-২ (মেট্টোরেল) প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করা।যুক্ত হলে নারায়ণগঞ্জবাসী চলাচলের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হতো এবং কি যানজট নিরসনেও অনেক ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু কোনে এক অজুহাতে এই প্রকল্প থেকে নারায়ণগঞ্জকে বাদ দেয়া হয়েছিলো। ফলে এই দাবী আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলো নারায়ণগঞ্জবাসী। আর সেই দাবীকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন নারায়ণগঞ্জের মানবিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

সেই সাথে তিনি আন্তরিকভাবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান যে কোনোভাবেই হোক এমআরটি-২ (মেট্টোরেল) প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার জন্য। আর তার সেই প্রচেষ্টায় তিনি অনেকটাই ইতোমধ্যে এগিয়ে গেছেন। আশা করা যাচ্ছে এমআরটি-২ (মেট্টোরেল) প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য সুসংবাদ আসছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জবাসীও মেট্টোরেলে চড়ে যাতায়াত করতে পারবেন।এবং নারায়ণগঞ্জ বাসির প্রাণের দাবি পূরণ হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি মিটিং করবে। সেই মিটিংয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিবে লাইন আসবে কিন্তু সেই লাইন ডাইরেক্ট করা হবে নাকি অন্য কোথাও হয়ে আসবে। লাইন হবে এটা মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা চাচ্ছি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা সরাসরি লাইন। আগামী সপ্তাহেই মিটিংয়ের আয়োজন করা হবে বলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবী-এমআরটি-২ (মেট্টোরেল) প্রকল্পে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন মহল থেকেই জোড়ালোভাবে এই দাবী উঠেছে। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু বিভিন্ন সামাাজিক সংগঠন এই দাবী আদায়ে তৎপর হয়েছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান বিভিন্ন দপ্তরে তারা যোগাযোগ করে যাচ্ছেন।

এরই মধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর শহরের নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ ব্যানারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আর মানববন্ধনে দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই সাথে মানববন্ধন থেকে এমআরটি টু প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ শহর, আদমজী, মদনপুরকে যুক্ত রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছিলো।

মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকা। এই এলাকার জীবনযাত্রা উন্নয়নে মেট্টোরেলের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার বিকল্প নেই। এখানে মেট্টোরেল হলে ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নত হবে।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি বলেছিলেন, রাজপথে নামা না পর্যন্ত এদেশে কোনো দাবি আদায় করা যায় না। বারবার আমরা নারায়ণগঞ্জে মেট্টোরেলের দাবি জানিয়ে আসলেও মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হয় এখানে মেট্টোরেল করা হলে লাভজনক হবে না। মেট্রোরেল শুধু লাভের জন্য নয়, মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য করা হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন। তাহলে তারা কোন যুক্তিতে বলছেন, এখানে মেট্টোরেল লাভজনক হবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারায়গঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ নারায়ণগঞ্জকে সবসময় অবহেলিত করে রাখা হয়। নারায়ণগঞ্জে যদি মেট্রোরেল আনা না হয় তাহলে এটি চরম বৈষম্যের হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর জামায়াতের আমীর আবদুল জব্বার, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, ইসলামী আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..