ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনায় প্রায় ১৯ বছর আগে ২০০২ইং সালে সংশোধিত মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে মৎস্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কারেন্ট জাল বিক্রি করায় কোন বছরেই এ উপজেলায় কাঙ্খিত অভিযান পরিচালিত হয়নি। ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সূত্রমতে, দেশব্যাপী অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষনা করা হলেও ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুর হাট সপ্তাহের প্রতি বুধবার ও রবিবার হাটেরদিন ছাড়াও অনেক দোকানে প্রকাশ্যেই অবৈধ কারেন্ট জালের পসরা বসিয়ে খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রি করে আসছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন সদর ইউনিয়নের বাবুর হাট থেকে অবৈধ কারেন্ট জালের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ছে এ উপজেলার দশ ইউনিয়নের হাট-বাজারসহ বিভিন্ন খাল-বিলে।
কিন্তু বাস্তবে এই আইন যে মানা হচ্ছে না, তা আরেকবার বোঝা গেল নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায়। এ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুর হাট,খগার হাট,ছাতনাই কলোনির হাট,ডালিয়া বাজার,নাউতারা বাজার,গয়াবাড়ীর শুটিবাড়ীর হাট,সহ উপজেলার সকল হাটে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রকাশ্যেই কারেন্ট জাল বিক্রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছেন নিরব দর্শকের ভূমিকায়।
মৎস্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কারেন্ট জাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ শামীমা আক্তার জানান, বিভিন্ন হাট-বাজারে অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এই নিষিদ্ধ জল দিয়ে মাছ শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রচলিত আইনে খুব দ্রুত সময়ে এই নিষিদ্ধ জলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..