ডিমলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিবেশীর লাথিতে ০৭মাসের সন্তান গর্ভপাত,থানায় অভিযোগ
নুরুজ্জামান সরকার, ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিবেশীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতিত গৃহবধূ বেবী আক্তার(২৮) উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের জোরজিগা গ্রামের ছামিদুল ইসলামের স্ত্রী।
রবিবার (২৪এপ্রিল) রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানেই আঘাত পাওয়ার কারণে অন্তসত্তার গর্ভের ৭ মাসের সন্তানটি মৃত প্রসব হয়৷
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছামিদুল রবিবার দুপুরে ডিমলা থানায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন:- মফিজুল ইসলাম,শাহ আলম,শাহীন ইসলাম,মোমিনা খাতুন,রিনা আকতার,তফেল উদ্দিন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর স্বামী ছামিদুলের সাথে প্রতিবেশী মফিজুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল বেলা ওই নারী বাড়ির সামনে উঠান পরিষ্কার করতে গেলে মফিজুলসহ তার বাড়ির অন্য সদস্যরা বাধা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মফিজুল ইসলাম বেবী কে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে এবং পেটে লাথি মারে।
পেটে লাঠি মারায় বেবী আক্তার মাটিতে পড়ে যায় এবং রক্তপাত ঘটে৷ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসা নেয়ার পরও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রবিবার (২৪এপ্রিল) রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখানেই আঘাত পাওয়ার কারণে অন্তসত্তার গর্ভের ৭ মাসের সন্তানটি মৃত প্রসব হয়৷
ডিমলা থানার এসআই প্রদীপ কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত চলমান রয়েছে।