মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

ডিমলায় আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১
  • ১৬০ বার পঠিত

 

নুরুজ্জামান সরকার, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সীমান্ত ঘেষা দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জনপদ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা। বোরো ধান আবাদের পর করোনার দুর্যোগেও আমন রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিমলা উপজেলার  কৃষকেরা। সদর উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিছু স্থানে চারা গাছ তুলছেন তারা। আবার কিছু স্থানে গিয়ে দেখা যায় চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন কৃষক। সবকিছু মিলিয়ে এ উপজেলার কৃষক ও কৃষিতে নিয়োজিত শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন নিয়ে।
ডিমলা সদর ইউনিয়ন, খগা খড়িবাড়ী, ছাতনাই কলোনি, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, নাউতারা, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানি, বালাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আমনের চারা উঠানো ও রোপণ করার দৃশ্য। এতে দল বেঁধে শ্রমিকেরা কোথাও আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথায় চারা রোপণ করছেন। এদের মধ্যে নারী শ্রমিকদেরও কাজ করতে দেখা যায় বেশ কয়েক জায়গায়।
আমনের চারা তুলছেন গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক
রাশেদ খান জানান, তিনি এ বছর আড়াই একর (২৫০ শতক) জমিতে আমন ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা জোগাড় করেছেন এবং তা রোপণ ও শুরু করেছেন। গত বছর শুরুর দিকে দাম কম পাওয়া গেলেও এ বছর ভাল দাম পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৯ শত ৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়  চাউল ৫৭ হাজার ৫ শত ৩৭ মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে কৃষকেরা চারা তুলে তা রোপণের কাজ শুরু করেছে জানিয়ে এ যাবত এ উপজেলায় মোট ১৬ হাজার  ৮ শত ৭০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার রামডাঙ্গা এলাকার কৃষক মুক্তার হোসেন জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছর তিনি ৩ একর (৩শ শতক) জমিতে আমন লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। যে কোন দিন চারা রোপণের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করবেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জানান যে, কৃষি উপকরণ সরবরাহের জন্য মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।  যদিও করোনা পরিস্থিতিতে বাজারের কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিস্থিতি একটু ভাল হয়ে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে এবং কৃষকেরা এ বছরও ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ডিমলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সেকেন্দার আলী আরো জানান, ডিমলা উপজেলা অন্যান্য ফসলের ন্যায় ধানের জন্যও বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণে ধান এ উপজেলায় উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..