স্টাফ রিপোর্টার জসীমউদ্দীন ইতি
ঠাকুরগাঁওয়ে গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার আটটা পর্যন্ত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটিই জেলায় এক দিনে
সর্বোচ্চ মৃত্যু। মারা যাওয়া এই আটজনের মধ্যে তিনজন রানীশংকৈলের, দুজন
বালিয়াডাঙ্গীর, একজন করে সদর, হরিপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮১ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্তের
বিপরীতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র
প্রতিবেদক কে আজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত শনিবার জেলায় পাঁচজন
করোনা রোগী মারা যান। তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৩ জনের করোনা শনাক্ত
হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম
মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, ঠাকুরগাঁওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন
এক্সপার্ট পরীক্ষা এবং সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া
র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রতিবেদন সমন্বয় করে মোট শনাক্তের সংখ্যা
জানা গেছে।
নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৫৭ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে
৯ জন, রানীশংকৈলে ১৯ জন, হরিপুরে ৪ জন এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪ জন।
এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ১৮৭
জনের করোনা শনাক্ত হলো। শনাক্তের গড় হার ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এদিকে
করোনার সংক্রমণ রোধে ঠাকুরগাঁও জেলায় লকডাউন চলছে। লকডাউন কার্যকর করার
জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে। এরপরও
মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ‘চলতি জুনে জেলায় সংক্রমণ
পরিস্থিতি ক্রমে অবনতি হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। সংক্রমণ ঠেকাতে এখন কঠোরতা
ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
ইতিমধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এখন লক্ষণ দেখা দিলেই
করোনা পরীক্ষা করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সাধারণ
মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়