ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে পলেস্তারা পড়া ঠেকাতে বাঁশের খুঁটি
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে, খুলে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে চিকিৎসা ও দাপ্তরিক কাজ।
এদিকে, যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে এই ফাটল ঠেকাতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ভবন রক্ষার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মূল ভবনের নিচতলায় ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। বিমেও ফাটল ধরেছে। আর সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনরা। কক্ষের ভেতর ছাদে পলেস্তারার ফাটল ঠেকাতে বাঁশের খুঁটির ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবন এটি। এ ভবনের একপাশে পুরোটাই শিশু ওয়ার্ড। হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের একাংশের ছাদ ফাঁটল ধরায় নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। ভবন ধস ঠেকাতে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে ফাটল ধরা স্থান। সেই সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যানার।
চিকিৎসা নিতে আসা মো. মুনজুর আলী বলেন, ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে গেছে। এ ভবনে চিকিৎসা করাতে ভয় হয়, কখন কোন দুর্ঘটনায় পড়ি বলা মুশকিল।
আকাশ রহমান নামের রোগীর এক স্বজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামনে বাঁশের খুঁটি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ অবস্থায় আমরা সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, আমরা ওই স্থানটিকে ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করিছি। তারপরও যদি কেউ ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ বলেন, আমরা মাসিক মিটিংয়ে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আশা করি এই বছরেই মেরামত করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরুর পর ১৯৯৭ সালে ১০০ এবং সবশেষ ২০২০ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাসপাতালটি। তবে শিশু ওয়ার্ডটি রয়ে গেছে পুরাতন ভবনেই।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..