ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ,কনস্টেবলসহ দুজন গ্রেপ্তার
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ
কনস্টেবল আল আমিন (২৮) ও তার বন্ধু রবিউলকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের
শিক্ষার্থী।
কনস্টেবল আল আমিন পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর
রহমানের ছেলে। আল আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
অপর আসামি রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আবুল কাশিমের
ছেলে। রবিউল ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে
চাকরি করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি
জানান, সোমবার বিকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে কনস্টেবল আল আমিন
ও রবিউলকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে রবিবার দুপুরে বাদি মোবাইলে অভিযোগ করলে সদর থানা পুলিশের একটি
টিম শহরের হাজিপাড়া এলাকার হীরন মহিলা ম্যাচ থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে
উদ্ধার করে এবং একই সময় ম্যাচের ভেতর থেকে রবিউলকেও আটক করা হয়। এ বিষয়ে
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আল আমিন তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে আল আমিন বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান
রয়েছে। ওই কিশোরী আরো বলেন, আল আমিন একজন প্রতারক। তাই তার কাছ থেকে
রেহাই পেতে কৌশলে আমি নিজ বাসায় ফিরে যেতে চাইলে আল আমিন ও রবিউল আমাকে
আটকে রাখে এবং দুই মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে
শারিরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে
ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে দুই মাস পূর্বে হঠাৎ করে আমার মেয়ে প্রায় ৮
লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। পুলিশের
সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশায় আল আমিন
ও রবিউলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
চাই।