টঙ্গীতে শ্রমিকলীগ নেতা শহিদ আহসান উল্লা মাষ্টার এমপির জন্মদিন পালন
মোঃ নুরুজ্জামান শেখ গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধিঃ প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর-টঙ্গী-২ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাওয়ালবীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি”র ৭১তম জন্মদিন পালন। ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর তিনি গাজীপুর জেলার হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য তাকে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ এ ভূষিত করা হয়।
জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে বাদ জোহর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ, পবিত্র কুরআন তেলওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে টঙ্গী নতুন বাজারস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচছাসেবক লীগ কেক কাটার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মতিউর রহমান শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জন্মদিনের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার টঙ্গী আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু-দফা পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নোয়াগাও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন গাজীপুর মাটি ও মানুষের নেতা শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করে। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেওয়া হয় দুই আসামিকে।