জুলাই বিপ্লবের রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে: ডিসি
বিশেষ প্রতিনিধি :এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে সে রক্তের ঋণ আমাদের পরিশোধ করতে হবে এবং এই রক্তের কোনো অবজ্ঞা আমরা সহ্য করবো না৷”
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় নবাগত ডিসি এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, “বিশেষ করে আপনারা কিশোর গ্যাং ও মাদকের কথা বলেছেন৷ মাদকের বিষয়ে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই একটি মাদক মুক্ত পরিবেশ গড়তে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধ থেকে আমরা একটা সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। সব ক্রাইমের রাণী মাদককে নিঃশেষ করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই।”
ডিসি বলেন, “আমাদের দেশের সম্পদ বলতেই জনগণ। আমরা জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের সকলেই একটা দায়বদ্ধতা আছে। সুতরাং সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়তে চাই। এই সুন্দর ব্যবস্থা করতে হলে আমাদের প্রথমেই মাদককে নির্মূল করতে হবে।”
‘পজেটিভ নারায়ণগঞ্জ’ নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আমি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি। যদি সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করে তাহলে আমি বিশ্বাস করি সবকিছুই সম্ভব৷”
নবাগত ডিসি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। ব্যবসায়িক ও ঐতিহ্যর দিক থেকে এই জেলার ব্যাপক পরিচিতি ও গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার কারণে মানুষ নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে বিভিন্ন সময় নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করে। আমরা যদি সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করি তবে ইনশাল্লাহ নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা পজিটিভ ভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগামীতে রিপ্রেজেন্ট করতে পারব।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামের মহানগরীর আমীর আব্দুল জব্বার, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মামুন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউসুর রহমান প্রমুখ৷