জুড়ীতে ভাগ্নিকে ধর্ষনের আলামত প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষক কাশেম কারাগারে
জালালুর রহমান,মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কাশেম মিয়া (৩২) নামক এক যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে জুড়ী থানা পুলিশ। ঔ ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্টেএ ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে গত (১৭/ফেব্রুয়ারি/২০২৩) ইং আদালতে চার্জশিট পাঠান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ আহমদ। জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাশেম মিয়া। চার্জশিট প্রদানের পর (৪/এপ্রিল/২০২৩) ইং ধর্ষণ মামলায় হাজিরা দিতে গেলে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন তাকে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য (২১/আগস্ট/২০২২) ইং ভোররাতে ধর্ষক কাশেমকে তারনিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে জুড়ী থানা পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার স্ত্রীর বোনের মেয়ে হয়। আত্মীয়তার সুবাদে কাশেম প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো যাতায়াতের একপর্যায়ে মেয়েটির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
গত (১৯/আগস্ট/২০২২) ইং বিভিন্ন লোভ লালসায় পেলে কাশেম মেয়েটিকে পার্শ্ববর্তী এলাকার কুলাউড়া উপজেলায় নিয়ে যায় সেখানে কোনো এক স্থানে রেখে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দুই দিন ধরে ইচ্ছা মাফিক ধর্ষণ করে কাশেম। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ধর্ষক কাশেমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ও ভিকটিম কে পুলিশ হেফাজতে রাখেন। পরে মেয়েটির মা জুড়ী থানায় বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন মামলাঃ- নং ০৭, তারিখ ২১/০৮/২০২২ ইং। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া জানান, এ ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টে ধর্ষনের আলামত প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে ।