জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হবে- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
মোঃ মিজানুর রহমানঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন,নড়াইলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীন ছিলেন একজন গুণী সাধক,অসাম্প্রদায়িক,মানবিক ও মুক্তিকামী পূর্ণাঙ্গ মানুষ।মোসলেমের মত গুণিজনের কর্ম ও বাণী আমাদের সংস্কৃতির শক্ত ভিত্তি।জীবদ্দশায় তিনি বিচিত্র ধরণের সংগীত যেমন:ভজন,ভাটিয়ালী,জারিপালা কাহিনী,ভাব,বিচ্ছেদ,দেশাত্মবোধক,বাউল, কীর্তন,গণসংগীত সহ প্রায় দেড় হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন,গেয়েছেন।এ ধরণের গুণী সাধককে স্বীকৃতি দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামে বাংলাদেশের লোকসংগীতের অন্যতম ধারা জারি ও মরমী গানের প্রবাদ পুরুষ জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনের ১১৮তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মোসলেম স্মৃতি পরিষদ’এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন নড়াইলের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনদিনব্যাপী (১৭-১৯ অক্টোবর) ‘কার্তিকের পূর্ণিমা উদযাপন ও মোসলেম মেলা ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন,অত্যন্ত নির্মোহ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত সহজ, সরল,সাদামাটা ভাবে বেঁচে থাকায় বিশ্বাসী ছিলেন চারণ কবি মোসলেম উদ্দীন বয়াতী। পোষাকে,চালচলনে,কথাকাজে মোসলেম ছিলেন এ জনপদে বসবাসকারী জনগণের কাছে অনুকরণীয় আদর্শ।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারিসম্রাট মোসলেম উদ্দীনের মত গুণী মানুষদের জীবন ও কর্মকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং তাদেরকে কিভাবে সম্মানিত করা যায়,তারও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস,নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার),নড়াইল পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা,নড়াইল জেলা সমিতি,ঢাকার সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল (অব.) সৈয়দ হাসান ইকবাল প্রমুখ।প্রতিমন্ত্রী এর আগে নড়াইল ও মাগুরা জেলার সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং মাগুরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সরকারি গণগ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন।
মোঃ মিজানুর রহমান
মোবাঃ