ছায়ানীড় আয়োজিত
গ্রন্থ প্রকাশনা ও সংবর্ধনা ২০২৩ অনুষ্ঠিত।
মো: মিজানুর রহমান,
স্টাফ রিপোর্টার।
৭ অক্টোবর রোজ শনিবার ২০২৩ ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের কবি
সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে “গ্রন্থ প্রকাশনা ও সংবর্ধনা” ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি
সভাপতি হিসেবে ছিলেন ডক্টর ইউসুফ খান, সভাপতি ছায়ানীড়।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেলিনা হোসেন, সভাপতি বাংলা একাডেমী, একুশে পদক প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম অপু
মহাপরিচালক,
বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ।
এছাড়াও সংবর্ধিত লেখিকা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিদা জেসমিন রোজী,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী।
নাসরিন বেগম, লেখক ও সমাজ সেবক।
মো:আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব মির্জাপুর উপজেলা শাখা।
প্রধান অতিথি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে কাছে পেয়ে উপস্থিত সকলে আনন্দে-উল্লাসে বিমোহিত হয় পড়ে।অনুষ্ঠানটি তখন যেন গুণীজনদের এর মিলন মেলায় পরিণত হয়।
মহাগ্রন্থ কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিকাল ৪:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। কোরআন তেলোয়াত শেষ হলে শুরু হয় জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। মিলনায়তনে তখন একটি অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টিহয়, মন্ত্রী মহোদয়সহ উপস্থিত সকলে একসাথে জাতীয় সংগীত গাইতে থাকেন।
এর পর শুরু হয় প্রকাশিত গ্রন্থ গুলোর মোড়ক উন্মোচন।
এগুলো হচ্ছে ১. আলোক চিত্রে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক ড. এম এ সামাদ
২.জাতীয় জাগরনে নারী এই গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন
অধ্যাপিকা তাসলিমা বেগম ৩.বিপ্লব স্পন্দিত বুকে রণাঙ্গনে ৭১, সেলিমা শাহনাজ ৪.স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপিকা বিলকিস খানম পাপড়ি ৫.মুক্তিযুদ্ধে নারী গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন ফেরদৌস পারভিন।
প্রকাশিত গ্রন্থ গুলোর মোড়ক উন্মোচনের পরে মনোনীত গুণীজনদের মাঝে সম্মান সূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। মাঝে মাঝে চলছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ। “আমি শিক্ষক” শিরোনামে কবিতা পাঠ করে সকলকে বিমোহিত করে দেন শিক্ষিকা নিজেই।
কবি আসাদুজ্জামান,বাবুল স্বরচিত কবিতা পাঠ করে উপস্থিত সকলের কাছে বেশ প্রশংসনীয় হয়ে উঠেন। ছোট্ট মেয়ে সাকতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা পাঠ করে বেশ প্রশংসা পায়।টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হতে আগত কনা মনি সংগীত পরিবেশন করে প্রশংসার দাবিদার হয়ে ওঠে।
প্রধান অতিথি ছায়ানীড়ের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ছাত্রজীবনে নিজেও পাঠ্য পুস্তকের বাহিরে অনেক বই পড়েছেন, আজকের প্রজন্মকেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার, জ্ঞান আহরণ করতে হলে তাই বই পড়ার বিকল্প নাই। তিনি মাসুদ রানা, দস্যূবনহুর এরকম আরো অনেক বই নিয়মিত পড়তেন। কথা শুনে মন্ত্রী মহোদয়কে বেশ রসিক মানুষ হিসাবেই মনে হচ্ছিল সবার। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডঃ ইউসুফ খান একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোন এক প্রকাশকের বই ঘরের মেঝেতে অনাদরে অবহেলায় পরেছিল এবং সেগুলো উইপোকায় খাচ্ছিল, ভিজে নষ্ট হচ্ছিল।এর কারণ বইগুলোর লেখা মানসম্মত ছিল না যে কারণে সেগুলো বিক্রি হচ্ছিল না। আপনারা সৃজনশীল বই প্রকাশ করুন, যাতে মানুষ সেগুলো পড়ে। মানুষ না পড়লে বই বিক্রি হবে না আর এতে করে প্রকাশক আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সবশেষে সভাপতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষনা করেন।