চুনারুঘাটে মারামারির অভিযোগে,মিথ্যা মামলায় ব্রাকের মানবাধিকার কর্মী কারাগারে।
চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ
চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার করে পারুল আক্তার (৩০) নামের এক মানবাধিকার কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
১০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পারুলের মামাতো ভাই পন্ডিত মিয়ার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের দায়ের করা মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ।পরদিন(বুধবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পারুল চুনারুঘাট উপজেলার রাণীরকোট গ্রামের রমিজ আলীর কন্যা ও ব্রাকের মানবাধিকার কর্মী। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার রাণীরকোট গ্রামের আঃ সহিদের বসত বাড়িতে পারিবারিক বিষয় (বাঁশ কাটা ও গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত) নিয়ে রাণীরকোট গ্রামের আঃ সহিদের কন্যা মিনা আক্তার, নাসিমা আক্তার (এক পক্ষ) ও তার পুত্র বধু সেলিনা খাতুন, সেলিনা খাতুনের ছেলে জয়নাল ও মেয়ে রিপা আক্তার (অপর পক্ষ) এর মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এতে মিনা আক্তার, সেলিনা খাতুন ও তার পুত্র জয়নাল মিয়া (২২), মিনার বাবা আঃ সহিদ (৭০) ও মা তৈয়ব চান (৬২)। আহত হন।আহত সকলেই চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। ঘটনায় ওই দিনই আঃ সহিদ বাদী হয়ে তার ছেলে পন্ডিত মিয়া (৪৫), পুত্র বধু সেলিনা খাতুন (৩০), নাতি জয়নাল মিয়া (২২) ও পাশের বাড়ির কন্টা মিয়ার পুত্র ইমন মিয়া (২১)কে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত করেন চুনারুঘাট থানার এএসআই আঃ রহিম।
একই ঘটনায়, ১০ জানুয়ারি সোমবার পন্ডিতের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বাদী হয়ে পারুল আক্তার (৩৫), পারুলের বাবা রমিজ আলী (৫৫) ও পারুলের ভাই শাহ আলম (২০)কে আসামি একই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পারুল এজাহারের ২ নং আসামি।অভিযোগকারী সেলিনা এজাহারে পারুলকে অভিযুক্ত করলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন ভিন্ন কথা। সেলিনার শাশুড়ী তৈয়ব চান বলেন, মারামারি আটকাতে তিনি পারুলকে ডেকে এনেছিলেন। পারুল মারামারি করেনি। সেলিনার ৩ ননদ নাসিমা, আছিয়া ও আকলিমা জানান, পারুল কিংবা তার বাবা ভাই কেহই মারামারি করেনি। তারা আটকাতে ছিলো।
সেলিনার চাচাতো দেবর ফিরোজ মিয়ার পুত্র সজল মিয়া বলেন, “আমি মারামারি আটকাতে ছিলাম। পারুলও আমাদের সাথে আটকানোতে ছিলো।”সেলিনার দাদা শশুর আঃ লতিফ বলেন, ঝগড়া হয়েছে তার নাতি-নাতনি ও নাতি বউয়ের (আঃ সহিদের পুত্র, কন্যা ও ছেলে বউ) মধ্যে। অন্যরা আটকাতে ছিল। সেলিনার স্বামী পন্ডিত মিয়া বলেন, তাদের পারিবারিক ঝগড়ায় শরিক হয়ে পারুল তার স্ত্রী সেলিনার মাথায় ঢিল মেরে ও পারুলের ভাই শাহ আলম তার ছেলে জয়নালকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করেছে। পরে তার বাবাকে ( আঃ সহিদ) দিয়ে মামলা করিয়েছে।
তার চাচা ইয়াকুত মিয়া দেখেছেন।
ইয়াকুত মিয়া বলেন, তিনি সব দেখেন নি।
যতটুকু দেখেছেন তা এখন বলতে পারবেন না।সেলিনা খাতুনের দায়ের করা মারামারির মামলায় পারুলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর বিষয়েৃ নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ