চিলাহাটি আইকনিক ভবন উদ্বোধন হলেও স্বপ্ন পূরনের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের মানুষ
সরকার সালাহউদ্দীন সুমন রংপুর বিভাগ।
নীলফামারীর ডোমারে বহুল প্রত্যাশিত চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনের আইকনিক ভবন, প্ল্যাটফর্ম, প্ল্যাটফর্ম শেড, ফুটওভার ব্রিজ ও ফাংশনাল ভবন উদ্বোধনের প্রায় এক মাস হলেও শেষ হয়নি নির্মান কাজ। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটিতে আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এসব উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের জুনে শুরু হয় পুরো স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ। পরে করোনা মহামারি ও নকশা জটিলতার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকে নির্মাণকাজ। নকশা সংশোধন করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক স্টেশনের আদলে চিলাহাটি রেলস্টেশনের আইকনিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। আধুনিক যাত্রী সুবিধার জন্য টিকিট কাউন্টার, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগার এর পাশাপাশি থাকছে রেলওয়ের কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভিন্ন বিভাগের অফিস। ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকছে ব্যাংক ও রেস্তোরাঁ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইমিগ্রেশন পয়েন্ট। চিলাহাটি হয়ে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে এই স্টেশন থেকেই। এতদিন মিতালী এক্সপ্রেসে যাতায়াতের জন্য ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন হলেও সেই সুবিধা চিলাহাটি থেকেই পাবেন উত্তরঅঞ্চলের মানুষ। ফলে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন ভারতের শিলিগুড়িতে।নানা জটিলতার কারনে উদ্বোধনের প্রায় ১ মাস হলেও শেষ হয়নি স্টেশনের আইকনিক ভবনের নির্মান কাজ।
বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ স্থাপনকারী এ ট্রেনে যাতায়াতের জন্য উত্তরবঙ্গে ইমিগ্রেশন চালুর স্বপ্ন শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের মানুষের তবে এ স্বপ্ন পূরনের হাতছানি পেলেও করোনা ও নানান জটিলতায় শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। এই স্টেশন থেকে মিতালী এক্সপ্রেসে উঠা নামার স্বপ্ন বুনছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এখন পর্যন্ত ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে স্টেশনটির। মিথালী এক্সপ্রেস থেকে উঠা নামার সুযোগে অর্থনীতিতে বিল্পব ঘটবে মনে করছেন উত্তরবঙ্গের মানুষ। ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারত, নেপাল ও ভূটানের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে এই রেলপথটি।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল বলেন, আমাদের উত্তরবঙ্গের চিলাহাটি স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। এখান দিয়ে ভারতের ট্রেন গেলেও আমরা উঠতে পারিন।এখানে আইকনিক ভবনের ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু হলে স্বপ্ন পূরন হবে আমাদের।
আনিছুর রহমান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমাদের চিলাহাটি আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। স্থল বন্দর চালু হলে ব্যবসা বানিজ্য ভালো হবে। চলাচলের জন্য ভালো হবে, ইনকাম হবে, ভারত যাওয়া আসার সুবিধা হবে। এখান দিয়ে ভারতের ট্রেন চলে ঠিকই কিন্তু আমরা উঠতে পারিনা। এটাই দুঃখ আমাদের। চিলাহাটিতে এটা যদি চালু করে দেয় তাহলে আমরা অনেক সুুখে থাকব।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের প্রকল্প পরিচালক ও বিভাগীয় প্রকৌশলী (পাকশী-২) আবদুর রহিম বলেন ,কাজ চলমান আছে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। কিছু ঢালাই এবং পেইন্টিং এর কাজ বাকি আছে। কিউরিং এর জন্য একটু সময় লাগতেছে আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
এবিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, উদ্ভোধন করা হয়েছে কাজ শেষ করতে আরও ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে।