চিলাহাটিতে হাজারো মানুষের চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা, সমস্যা সমাধানে নিশ্চুপ ইউপি চেয়ারম্যান
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি ৭ নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়া থেকে মোলানী ব্রিজ হয়ে চিলাহাটি বাজার যাতায়াতের কাঁচা রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদায় পরিণত হয় এবং রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে এলাকায় বসবাসকারী ২ হাজার মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কোথায় গর্ত কোথায় সমান বুঝার উপায় নেই, তাই প্রতিনিয়ত ছোট খাট দূর্ঘটনা লেগেই আছে। এবং এই কাঁদা পানি পেরিয়ে স্কুল—কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী এই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দ্রুত রাস্তাটি পাকা করণের জোড় দাবি জানান।
ভুক্তভোগী মজনু বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে এলাকার ২ হাজার লোক চলাচল করে, অথচ রাস্তাটি ব্যবহারের এতোটাই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ছোট খাট দূর্ঘটনা সবসময় লেগেই আছে। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটার এবং রাস্তাটি চিলাহাটি বাজার যাতায়াতের একমাত্র পথ। এ রাস্তা দিয়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা দ্রুত তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক—মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে পড়াশোনা করতে এলাকার ছেলে—মেয়েরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কারনে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমরা অধিকাংশ মানুষ জেলে ও কৃষি কাজের উপর জীবিকা নির্বাহ করি, তাই আমাদের কথা কেউ শুনেনা এবং রাস্তাটি মেরামতও হয়না।
এলাকায় বসবাসকারী আরেক বাসিন্দা, আমিনার ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা কাদা হয়ে পানি জমে থাকে। তখন রিকশা— ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও চালাতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে বাড়ি থেকে চিলাহাটি বাজার যেতে খুব কষ্ট হয়।
স্থানীয়রা বলেন, মাটির কাঁচা সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। রাস্তায় এক টুকরি বালু মাটি দেওয়ার কেউ নেই। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের চোখেও যেন পরে না। বর্তমানে রাস্তাটিতে পানি ও কাঁদা জমে রয়েছে। এতে করে দুভোর্গের যেন শেষ নেই। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবী জানান তারা ।
এবিষয়ে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হকের সাথে মুঠোফোনে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন দেখি, কি করা যায়। কথাটি শেষ হতে না হতেই তিনি লাইনটি কেটে দেন।