চরম হতাশায় পাট চাষীরা: লিটন বিশ্বাস(তন্ময়) কাশিয়ানী,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি। সোনালী আঁশ খ্যাত পাট একসময় বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল।বিশেষ করে এদেশের বৃহত্তর ফরিদপুরের পাটের কদর বা চাহিদা ছিল বিশ্ব দরবারে প্রশংসনীয়।এ বৎসর গোপালগঞ্জের (মুকসুদপুর -কাশিয়ানী) উপজেলায় ব্যাপক হারে পাটের আবাদ হয়েছে, ফলন ও চোখে পড়ার মত।কিন্তু তার পরেও কৃষকদের মুখের হাঁসি হটাৎ করেই যেন মুখ ধুবঁড়ে আটকে গিয়েছে। বর্তমানে পাট যেন এ এলাকার কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এক সময় এ এলাকাতে প্রচলন ছিল কৃষক হাটে পাট বিক্রি করে জোড়া ইলিশ মাছ ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে আসতেন। কিন্ত বর্তমানে পাটের ক্রমশ: দরপতনে ১ মণ পাট বিক্রি করে সেই টাকায় ভালোমানের ১ কেজি ইলিশ মাছ মিলছে না। স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে মো: রিপন লস্কর,মো:নজির খাঁন,নৃপেন সরকার প্রমূখ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না,তারা চরম হতাশা আর দু:শ্চিন্তার মধ্যদিয়ে দিন যাপন করছেন।তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এ বৎসর মণ প্রতি তাদের লোকসানের পরিমাণ(৪০০-৫০০) টাকা। কৃষকদের প্রাণের দাবী সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পাট ব্যবসায়ীমহল কে সিন্ডিকেট মুক্ত করে,পাটের নূন্যতম বিক্রয় মূল্য ৩০০০(তিন হাজার)টাকা নির্ধারণ করে দিলে তারা বাঁচবে। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী,গোপালগঞ্জে এ বৎসর পাটের আবাদ করা হয়েছে,২৪ হাজার ৩৯৬হেক্টর জমিতে।গত বৎরের থেকে ২৮৬ হেক্টর জমিতে কৃষকরা তাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাটের আবাদ করেছেন। সময় মত যথেষ্ট বৃষ্টিপাত না হওয়ায়,নদী-নালা,জলাশয়ে পানির অভাব দেখা দেয়।তাই কৃষকেরা বাধ্য হয়ে সেঁচের মাধ্যমে পাট জাগের ব্যাবস্থা করেছেন।এতে করে পাটের গুণগত মান,ফলন তথা পাটের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বৎসরের তুলনায় বেশি।চলতি বৎসরে মুকসুদপুরে ৮ হাজার ৫৯৪ হেক্টর এবং কাশিয়ানীতে ৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের তথ্যানুযায়ী এ বৎসর গোপালগঞ্জে পাঁচটি উপজেলায় মোট ১৮ হাজার কৃষক কে পাটে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।