চরমোন্তাজে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তারের স্ত্রীর অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ।
আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃরাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তার সমীর ভুইঁয়ার স্ত্রী লাবনী রানী কোন প্রকার চিকিৎসা প্রশিক্ষন ছাড়াই অর্থ উপার্জন করতে প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ২৭’জুলাই বিকেল ৩.৪৫ মিনিটের সময় গলাচিপা ফেরীঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের ভিতরে এক নবজাতকের জন্ম দেন মোসাঃ রিমা আক্তার (২২), রিমা চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবের স্ত্রী।
এবিষয়ে প্রসূতি রিমা আক্তার বলেন, সকাল থেকে তার প্রসব যন্তনা শুরু হলে রিমার স্বজনরা তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে আসতে চাইলে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সাস্থ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক সমীর ভুইঁয়ার স্ত্রী লাবনী রানী প্রসূতি রিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাবে বলে সর্ব প্রকার হাতুড়ে চেষ্টা করেন। প্রসূতির আত্মীয় স্বজনরা রিমার অবস্থা জটিল দেখে বার বার বলা সত্বেও লাবনী রানী প্রায় ৬ ঘন্টা যাবত তার চেষ্টা অবহৃত রাখেন। পরে সকল চেষ্টা শেষে দুপুর ১ টার সময় প্রসূতি রিমার মা জোরপূর্বক লাবনী রানীর কাছ থেকে প্রসূতি রিমাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালের উদ্দেশ্যে চরমোন্তাজ হইতে দ্রুত স্পীড বোডে গলাচিপা নিয়ে আসলে পথমধ্যে হরিদেবপুর ফেরীঘাটে প্রসব যন্ত্রনা বেড়ে যায়। এসময় পাবলিক টয়লেটে গেলে সেখানেই নবজাতকের জন্ম হয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক অনুতোষ দাসকে দেখালে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
এবিষয়ে অভিযুক্ত লাবনী রানীর কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি মিডওয়েফারি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত তবে এ রোগীর চিকিৎসা আমি দেইনি। পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছে, আমাকে তারা ডেকে নেয়ার পরে রোগীর অবস্থা দেখে তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যেতে বলি সকল চিকিৎসা পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার করেছেন বলে জানান।
এনিয়ে পল্লী চিকিৎসক সবুজ এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যাস্ত, এব্যাপারে পরে কথা বললেন বলে দায় এরিয়ে ফোন কল কেটে দেন।