গোবিন্দগঞ্জে রেজিষ্ট্রেশন ফেল অবৈধ ড্রাম ট্রাকের বে- পরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুঘর্টনা||দুর্ঘটনা রোধে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপের দাবীতে স্মারকলিপি
মোঃ আনছারুজ্জামান, রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রেজিষ্ট্রেশন ফেল ড্রাম ট্রাক দিনে-রাতে সড়ক -মহাসড়ক জুড়ে বেপরোয়া চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে দুঘর্টনা।
দিন-দিন বহিরাগত রেজিষ্ট্রেশন ফেল ড্রাম ট্রাক গোবিন্দগঞ্জে কন্টাক্টে নিয়ে এসে ম্যানেজ করে চলাচল করায় একদিকে যেমন সড়কে বাড়ছে অবৈধ ড্রাম ট্রাকের সংখ্যা। অপরদিকে বাড়ছে সড়কে দুর্ঘটনা। এ ড্রাম ট্রাকের বে-পরোয়া চলচলে পর পর ৩টি ড্রাম ট্রাক দুঘর্টনা ঘটেছে। এতে এক ফল ব্যবসায়ী নিহত সহ পৃথক ঘটনায় আহত হয়ে পুঙ্গুত্বের মত ঘটনা ঘটেছে। এবং ড্রাম ট্রাকের ডালা বিদ্যুৎ এর তাড়ে লেগে অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শুধুমাত্র দুটি ঘটনার একটি ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার এস,আই প্রলয়ের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া এলাকার দুঘর্টনা ঘটনাস্থল থেকে ড্রাম ট্রাক আটকরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নেয়া হয়। পরে কয়েকদিন আটকে রেখে ড্রাম ট্রাকটি ছেড়ে দেয়া হয়।এ বিষয়ে আমাদের সময় প্রতিনিধিকে এস,আই প্রলয় বলেন, ওই স্থানে ড্রাম ট্রাক থেকে মাটি পড়ে দুই /তিনটি দুঘর্টনা ঘটার অভিযোগে ড্রাম ট্রাকটি আটক করা হয়। পরে যাচাই বাচাই করে গাড়ীটি ২/৩দিন রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে গতকালের দুঘর্টনায় পুলিশের আটককৃত ঘাতক ড্রাম ট্রাকটি সাথে জড়িতদের স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়ীগন বিচার দাবী করে।
স্থানীয় ড্রাম ট্রাক ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, আমাদের গোবিন্দগঞ্জে প্রায় -৩০-৩৫ টি বৈধ ড্রাম ট্রাক রয়েছে।তবে বর্তমান বাজারে একটি ড্রাম ট্রাক প্রতি মাসে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা ভাড়া হিসাবে বাজার চলছে।তবে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আড়ালে আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ফরিদপুর,গাজীপুর, সিলেট,বগুড়া,মহাস্থান সহ বিভিন্ন স্থানে ১০থেকে ২০টি করে ড্রাম ট্রাক ঢাড়া নিয়ে এসে ট্রাক কন্ট্রাকে লোকালি ভাড়া খাটাচ্ছে।
এসব বহিরাগত ড্রাম ট্রাকের সংখ্যা শতাধিক। এসব গাড়ীর ড্রাইভারও যেমন বহিরাগত, তেমনি তাদের গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন ফেল ও তাদের রাস্তাঘাট সম্পর্কে চেনা জানা নেই। ফলে এ এলাকার মানুষের প্রতি দয়ামায়া কম। আর ড্রাইভারের টিপ চুক্তি হওয়ায় তাড়াও তাড়াহুড়া করে টিপ মেরে বাড়তি আয় করার চেষ্টা করছেন। আর তাড়াহুড়া- বেপরোয়া চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে একের পর এক দুঘর্টনা।আরও জানাযায়,বি়ভিন্ন জেলার বহিরাগত ড্রাম ট্রাকগুলি একদিকে যেমন দুঘর্টনা ঘটাচ্ছে। অপরদিকে যারা কন্টাকে নিয়ে আসেন তারাও লাখ লাখ টাকা গাড়ী ভাড়া বাকী রাখার নামে দেই-দিচ্ছি করে প্রতারনা করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট করছে।
একের পর এক দুঘর্টনায় সড়ক -মহাসড়ক বিপদজনক হওয়ায় সড়ক দুঘর্টনা এ যেন সবাই অজ্ঞাত কারে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করেছে।আজ দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়াসহ মহাসড় স্বাভাবিক করতে আজ বুধবার বিকালে গাইবান্ধা জেলা বিভিন্ন সচেতন সমাজের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে গতকালের দুঘর্টনায় আটককৃত বহিরাগত ড্রাম ট্রাকের কন্টাক্টে নিয়ে আসা মালিক মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আনসার আলীর ছেলে বিএনপি নেতা মোস্তাফা।গতকালের দুঘর্টনার বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।এবং ঘাতক চালক সংশ্লিষ্ট ট্রাকের মালিককে আটকসহ আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সচেতন মহল এসব যে কোন দুর্ঘটনায় রফাদফা নয়,জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।