গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার বাজারে স্বাস্থবিধির বালা নেই বললে চলে।।।।
তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
চলমান লকডাউনের মধ্যেও প্রায় স্বাভাবিক হয়ে জমে উঠেছে রাজশাহী জেলা গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভায় সাপ্তাহিক হাটের দিন আজ বৃহস্পতিবার । অন্যান্য সময়েরর মতো আজও কাকনহাটে বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ জন এসেছে ও আসছে যাদের ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনের বেশি হবে মুখে কোন প্রকার মাক্স নাই। সামাজিক দুরত্ব তিন ফিটের তো কথায় নাই। এই করোনা মহামারিতে সরকার বার বার লকডাইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করছে যাতে কোভিড-১৯ রুগির সংখ্যা বা কোভিড-১৯ নিয়ন্তনে আসে কিন্তু সাধারণ মানুষ সরকার কে কোন প্রকার সহায়তা করছেনা। এবং সরকার ঘোষিত কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মানছে না, কাকনহাট বাজারে অন্য দিন গুলোতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ তৎপরাতা দেখা গেলেও আজ কিন্তু চোখে পড়ার মতো কিছু দেখা যায় নি।কাঁকনহাটে বাজার করতে আসা একব্যক্তি যাহার নাম মো: শাজাহান আলী কে জিঙ্গাসা করা হয় আপনি এই করোনার মধ্যে মাক্স না পড়ে বাজারে আসছেন কেন তিনি উত্তরে বলেন আমি কেনো আপনি এই বাজার চেক করে দেখুন প্রায় শতকারা ৯৫ জনের মুখে কোন মাক্স নাই যা দেখে আমি হতাশ । আমি বাড়ি হতে মাক্স পরে এসেছিলাম কিন্তু বাজারের মধ্যে আমার মাক্সটি নষ্ট হয়ে যায়।
আমি এখন দোকান হতে একটি মাক্স কিনে নিয়ে তা পড়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দিব। তিনি আমাদের আরো বলেন আসলে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের উপর দোষ দেওয়া ঠিক না কেনো না আমরা সাধারণ মানুষ সরকারের বিধিনিষেধ মানতে অভ্যাস্ত না যার কারণে করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রনে আসছেনা।আমাদের প্রতিনিধি কাকনহাট বাজারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখে জানায় আসলে যারা দূর দূরান্ত হতে যেমন চাপাই নবাবগঞ্জ,আমনুরা,রহনপুর,রাজশাহী,গোদাগাড়ী সহ আরোও বিভিন্ন জায়গা হতে এসেছে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিক্রয় করতে তাদের মুখেও মাক্স দেখা যায় না আবার যাদের মুখে মাক্স আছে তা মুখে মাক্স না দেওয়ার অবস্থায় আছে।
কাকনহাট বাজার জুড়ে দেখা যায় চার্জার ভ্যান,চার্জার অটো,ভূটভুটি, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন গাড়ির চাপ। কাকনহাট বাজারে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে সকল প্রকার ব্যবসায়ী দোকানপাট। কাকনহাট বাজারে আজ কোন প্রকার কঠোর লকডাউন নেই বললে চলে, আজ স্বাভাবিক দিনের মতে অবস্থান করছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।।
আসুন আমরা সকলে সরকারী সকল বিধি নিষেধ মেনে চলি, বাড়ির বেড় হলে মুখে মাক্স পড়ি অন্যকে মাক্স পড়তে উৎসাহ প্রদান করি। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিজে গ্রহণ করি এবং অন্যকে গ্রহণ করতে উৎসাহ প্রদান করি। কারণ সরকার ১৮ বছর হতে উদ্ধে সকলকে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।।।