বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় ডেপুটি স্পিকারের জানাজায় মানুষের ঢল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২
  • ১৩৮ বার পঠিত

গাইবান্ধায় ডেপুটি স্পিকারের জানাজায় মানুষের ঢল
মোঃ আনছারুজ্জামান, স্টাফ রিপোর্টার।
নিজ জেলা গাইবান্ধার সাঘাটায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার উল্লা বাজারের ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হয়। এতে সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন ফজলে রাব্বী মিয়ার ভাগ্নে হাফেজ মো. রোকনুজ্জামান। জানাজার আগে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ফজলে রাব্বীর মরদেহ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার শিমুলতাইর মাঠে আনা হয়। মরদেহ পৌঁছামাত্রই আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মরদেহবাহী বিমানটির চারিদিকে মানুষ ভিড় করেন। সাতবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে নিয়ে মানুষ বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।
জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হচ্ছে ভরতখালি ইউনিয়নের গটিয়া গ্রামে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সাতবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যকে।
ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি জানান, আমেরিকার নিউইয়র্ক জামাইকা ইসলামিক সেন্টারে ফজলে রাব্বীর প্রথম জানাজা হয়। পরে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হয়।
গত শুক্রবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি নয় মাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে জাতীয় পার্টির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরে জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও পরাজিত হন। এরপর ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্ষীয়ান এই রাজনৈতিক ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..