খুলনায় টাকার বিনিময়ে মিলছে ডিপ্লোমা চিকিৎসক সনদ
মোঃ মামুন হাচান স্টাফ রিপোর্টার
খুলনার ফুলতলায় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন যাবৎ ডিপ্লোমা চিকিৎসক সনদ বিক্রি করছে, যার নেপথ্যে রয়েছে ইকবাল নামে এক স্কুল শিক্ষক।
ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, উপজেলা সদরের জামিরা রোডে ফুলতলা প্যারামেডিক্যাল এ্যান্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (পিটিএফ) ডাক্তার ও নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্তরালে চলছে এ সনদ বাণিজ্য। ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি, ডিপ্লোমা ইন ক্লিনিক্যাল নার্স, ডিপ্লোমা মেডিক্যাল এ্যাসিসট্যান্টসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সনদ মুহুর্তের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা না দিয়ে মোটা অংকের অর্থ দিলেই মিলবে।
যদিও তাদের বিভিন্ন প্রচারপত্র বা লিফলেটে কোর্সগুলো ৩ বছরের কথা উল্লেখ রয়েছে। তারপরেও এই পিটিএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শাখা পরিচালক ইকবালকে টাকা দিলে সনদ যোগাড় করে দেন তিনি। ৩ বছরের কোর্সে পরীক্ষা ও ক্লাস করার প্রয়োজন নেই। ২২ হাজার টাকা দিলেই ৫/৬ দিনের মধ্যে মিলবে ১০টি কোর্সের সনদ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা সদরের করিমুননেছা স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইকবাল মোল্যা। দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। তবে শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি খুলেছেন ডাক্তার ও নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। স্কুলটির সামনেই বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালিয়ে আসছেন তিনি। এখানে ভূমি জরিপ, ডেন্টাল, প্যারামেডিক্যাল নার্স, পল্লী চিকিৎসকসহ অন্যান্য ১০টি কোর্স চালু রয়েছে।
ইনসাফ আহমেদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ইকবাল মোল্যার কাছে পরীক্ষা ও ক্লাস ছাড়াই সনদ আনতে গেলে বেরিয়ে আসে এ তথ্য। ২২ হাজার টাকা দিলেই ৫/৬ দিনের মধ্যে ডিপ্লোমা মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট (ডিএমএ) সনদ দিতে রাজি হন শাখা পরিচালক ইকবাল। শুধু চিকিৎসক হওয়ার সনদ নয়, ঔষধ বিক্রির লাইসেন্সও স্বল্পমূল্যে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
ইকবাল মোল্যা এসব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ক্লাস ও পরীক্ষা ছাড়া মাত্র ৪ জনকে সনদ দিয়েছি।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ড. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এটা কিভাবে সম্ভব? খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।