খুলনার পাইকগাছায় ইটভাটা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন।
বি.সরকার, স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।
খুলনার পাইকগাছায় জবর দখলকারীর বিরুদ্ধে এনএসবি ইটভাটা মালিকের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছে। পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে ভাটা মালিক মোঃ শাহিনুর রহমানের স্ত্রী সোনালী বেগম সংবাদ সম্মেলনের সময় বলেন, তার স্বামীর স্বত্ত্বাধিকারী এনএসবি ইট ভাটার জবর দখলকারী এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী আছাদুল সরদার, মনিরুল সরদার গংদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ধারের জন্য প্রশাসানের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তিনি আরো বলেন পাইকগাছার পুরাইকাটি মৌজায় এনএসবি নামক ইট ভাটাটি সকলের জ্ঞাতসারে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী শাহিনুর রহমান পরিচালনা করে আসছে। তার স্বামী ঋণগ্রস্থ হওয়ার কারণে ভাটাটি পুরাইকাটি গ্রামের মৃত পির আলী সরদারের পুত্র আছাদুলসরদার, ফরিদ সরদারের পুত্র মনিরুল সরদার, মৃত মান্দার সরদারের পুত্র শহিদুল সরদার ও মৃত তমেজ মোড়লের পুত্র মুনছুর আলী মোড়লের নিকট ৩৩ লক্ষ টাকায় বায়নাপত্র করে ভাটা পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্তীতে পাওনাদারদের মধ্যে কয়েকজন তার স্বামীর নামে আদালতে মামলা করলে তার স্বামী এলাকার বাইরে থাকার সুযোগে ভাটাটি, বেআইনীভাবে বায়নাপত্র বলে জবর দখল করে নেয়। তাছাড়া তারা প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র ভাড়া দিয়ে দুই বছরে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। এছাড়া উক্ত বায়নাপত্র গ্রহিতা ব্যক্তিগণ বায়নাপত্র বুনিয়াদে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৯/২১ ও ২০৩/২১ নং মামলা করে, যা চলমান রয়েছে। তার
স্বামীর ইট ভাটা এলাকায় প্রায় ৫০ বিঘার মত জমি বাদেও চিমনী, ডাম্পার, মেশিনাদী, ইট তৈরীর মিক্সার, কয়লা ভাঙ্গা মেশিন, হাওয়া মেশিন, জেনারেটর, মটর, উত্তোলনকৃত মাটি, বালি ইত্যাদি, যাহার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকার উর্দ্ধে হবে, অথচ বায়নাপত্র গ্রহিতাগণ তার স্বামী বাইরে থাকার সুবাদে বেআইনীভাবে ইটভাটাটি জবর দখল করে যাবতীয় মাটি ও বালি বিক্রয় করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। যা তাদের দেওয়া টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা তারা
ইতোমধ্যে গ্রহণ করা সহ ভাটাটি আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও উক্ত জবর দখলকারীরা তাদের বায়নাপত্রের ক্ষমতা বলে ইট ভাটাটি আত্মসাৎ ও প্রতারণা করার জন্য পাইকগাছা পৌরসভার নুরুল ইসলামের পুত্র মিরাজুল ইসলাম, মৃত সাকার উদ্দীন সরদারের পুত্র মুজিবুর রহমান, শেখ আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শেখ আব্দুল কুদ্দুস, সোহরাব আলী ও আলমতলা গ্রামের আমিন উদ্দীন সানার পুত্র হাবিবুর রহমান সানার নিকট ডিড প্রদান করেন। বায়নাপত্র বুনিয়াদে কিভাবে ডিড দিলেন তা তাদের জানা নেই। উক্ত ডিড গ্রহিতা এবং জবর দখলকারীরা যোগাযোগীভাবে তাদের স্বত্ত্ব দখলীয় ও নামীয় এনএসবি ভাটাটি তারা ফাইভ স্টার নাম দিয়ে পরিচালনা করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে তীার স্বামী জমির মালিকদের হারী বাবদ ১৫ লক্ষ ও অন্যান্য পাওনাদারদের ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছেন। বায়নাপত্র বুনিয়াদে বেআইনীভাবে ইট ভাটা জবর দখল ও বেআইনী ডিড মালিকদের উচ্ছেদপূর্বক যাতে তারা উক্ত ইট ভাটা এলাকাবাসী ও পাওনাদারদের সহযোগিতা নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ করতে
পারে তার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বেআইনী জবর দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য
বিভাগীয় কমিশনার খুলনা, জেলা প্রশাসক খুলনা, পুলিশ সুপার খুলনা, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।