খুলনার পাইকগাছায় দু’সন্তানের জননী পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মারাত্মক অবস্থায় খুলনায় হাসপাতালে।
বি.সরকার। স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।।
খুলনার পাইকগাছায় রাড়ুলীর ষষ্ঠীতলায় দু’সন্তানের জননী পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মারাত্মক অবস্থায় খুলনায় হাসপাতালে। জানাযায় চোখে-মুখে সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে ও হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে। গৃহবধূর স্বজনরা ১১ ফেব্রুয়ারী রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন। প্রতিবেশী নাজির সরদার জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসায়ী। স্বামী ব্যবসায়ী কাজে গড়ইখালীতে ছিলেন, রাতে তিনি বাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে ডাকাত দল বাসার ছাদের সিঁড়ি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা গৃহবধূকে চোখে মুখে সুপার গ্লু আঠা দেয়, হয়ত একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। তার কানের দুল ও নাকফুল ছিঁড়ে নেয়। বাড়ীর আসবাবপত্র তচনছ করে আলমারী ও বাক্সে থাকা টাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। যাতে ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতরা ২ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ নিয়ে গেছে। এসময় তারা গৃহীনিকে পাশবিক নির্যাতন করে বলে পরিবারের লোকেরা ধারণা করছেন। তিনি আরও বলেন, পরিবারের সদস্যরা ভোরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেনি। ওই নারীর স্বামী জানান তার স্ত্রী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে অজ্ঞান ছিলো। বিস্তারিত কিছু কেউ জানাতে পারেনি। সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল মোঃ সাইফুল ইসলাম ও পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, ভিক্টিম অসুস্থ। তার কাছ থেকে না জানা পর্যন্ত সঠিকভাবে কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা। তার সঙ্গে কথা বলার পর সব কিছু পরিষ্কার বুঝা যাবে।