খুলনায় যুবলীগ নেতা শাওনকে উপর গুলি
মোঃ মামুন হাচান স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান শাওনকে গুলি করে পালানোর সময় বিদেশী অস্ত্র-গুলিসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পরিত্যক্ত একটি ককটেল, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি রিভলবার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডিসি ট্রাফিক (কেএমপি) মো. তাইজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বয়রা বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী দু’টি মোটরসাইকেলে করে একজনকে টার্গেট করে প্রথমে একটি ককটেল চার্জ করে। পরবর্তীতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে। তখন ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা
দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা বয়রা কলেজের দিকে পালানোর সময় স্থানীয় জনগণ ও খালিশপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাফিকরা একজনকে আটক করে।
এ সময় তার দেহ তল্লাশী করে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ১১টি গুলি উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে র্যাবের সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযানে একটি ককটেল উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বাকি আসামিদের ধরার তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পরে বয়রা বাজার মোড়ে যুবলীগ নেতা সাঈদুর রহমান শাওনকে টার্গেট করে ২টি মোটর সাইকেলে ৬জন যুবক আসে। তারা শর্ট গান দিয়ে শাওনকে গুলি করলেও গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে মোটর সাইকেল থেকে এক যুবক পরে যায়। স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে পুলিশের উপস্থিতি ঘটলে যুবক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে প্রাথমিকভাবে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান শাওন বলেন, সন্ত্রাসীরা দু’টি মোটরসাইকেলে ৬জন মুখোশ পরিহিত ছিল। আমাকেই হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, পরে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। তিনি আরও জানান, তার পিতা, বড় ভাইকে চাচা সহ নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার আগেও তাকে দু’বার হত্যা প্রচেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা।