খুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্যমূল্যে আকাশচুম্বী,
কাজী রায়হান তানভীর সৌরভ
খুলনা জেলা প্রতিনিধি।
গত পাঁচই আগস্ট
হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে তারুণ্যের হাত ধরে দেশ পরিবর্তন হতে শুরু করেছিল,
ভাঙতে শুরু করেছিল সকল সিন্ডিকেট, কমতে শুরু করেছিল সকল নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, কিন্তু হঠাৎ কোনো এক অজানা কারণে বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভেঙে
ক্রমাগতভাবে সাধারণ মানুষের
ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য,
স্বল্প আয়ের মানুষের তাদের উপার্জিত অর্থের মধ্যে পরিবারের চাহিদা পূরণ করা হয়ে যাচ্ছে কষ্টসাধ্য,
যেখানে এদেশে একজন দিনমজু দিনে সর্বোচ্চ উপার্জন করে ৫০০ টাকা সেখানে এক কেজি কাঁচা মরিচ ই বিক্রি হচ্ছে জায়গা ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে,
মৌসুমী সবজি গুলো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে,
জাতীয় মাছ ইলিশ
যেন এই স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে হয়ে উঠেছে সোনার হরিণ
একটি ভালো মাপের ইলিশ মাছ কিনতে হলে তাদেরকে খরচ করতে হবে তাদের ৪ দিনের উপার্জিত টাকা,
পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে,
রসুন তো ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়,
নিম্ন আয়ের মানুষদের একমাত্র ভরসা আলু হয়েছে ৬০ টাকা কেজি, ৮০ টাকার নিচে নেই কোনো তরি তরকারি,
ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা ও সোনালী বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে,
অপরদিকে মাছের বাজার যেন আগুন নিম্ন আয়ের মানুষদের মাছের চাহিদা মেটানোর সম্বল পাঙ্গাস ও তেলাপিয়ার দামও বেড়েছে,
বিক্রি হচ্ছে সাইজ অনুযায়ী ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে,
বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে চলেছে মুরগির ডিম
জায়গা ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেক ১৬ পিচ।
চাল সর্বনিম্ন ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, সয়াবিনের তেল এর কেজি দাঁড়িয়েছে ১৭৫ টাকায়,
নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে যেন পরিবার পরিজন এর মুখে তিন বেলা অন্য যোগান দেওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে।