কুড়িগ্রামে বিকাশের টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় ০২ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ছিনতাইকৃত ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার। মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার আরো দুই জনে
মোঃ আনছারুজ্জামান, রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
গত ১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় ভুরুঙ্গামারী থানাধীন বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের লক্ষিমোড় ও ঘুন্টিঘরের মাঝামাঝি জায়গায় নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিকাশ এজেন্ট মেসার্স জনতা ট্রেডার্স এর ব্যাংক একাউন্ট থেকে সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ইসলামী ব্যাংক ভূরুঙ্গামারী শাখা থেকে টাকা উঠিয়ে বিভিন্ন রোডের ১০ জন কর্মীর মাঝে ভাগ করে দেয়। সোনাহাট রোডে দুইজন বিকাশ এজেন্টের কর্মী ১৫ লাখ টাকা নিয়ে রওয়ানা করেন। পরবর্তীতে ভূরুঙ্গামারী – সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের লক্ষিমোড় ও ঘুন্টিঘরের মাঝামাঝি জায়গায় পৌছলে পিছন দিক থেকে একটি লাল রং এর ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল তাদের ধাক্কা দিলে তারা রাস্তায় পড়ে যান। এসময় ছিনতাইকারী ফিম্মী স্টাইলে টাকার ব্যাগ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে মোটরসাইকেল যোগে কচাকাটা থানার অভিমুখে চলে যায়।
উক্ত সময় বিকাশের ২ কর্মী আহত অবস্থায় চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন দ্রুত জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেন। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ভাবে ভুরুঙ্গামারী থানা এবং কচাকাটা থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে কচাকাটা থানাধীন ছনবান্দা খালিশাকুড়ি গ্রাম থেকে নাগেশ্বরী দিঘীরপাড় এলাকার প্রসেনজিৎ রায় (২৮), বোয়ালের ডারা এলাকার মো: খাদেমুল ইসলাম (২৬) ও কচাকাটা থানা এলাকার ছনবান্দা খালিশাকুড়ি এালাকার মোঃ মুন্নাফ আলী (২৫) দের কচাকাটা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল ভুরুঙ্গামারী থানা এলাকায় হওয়ায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ আটককৃত ০৩ জন ছিনতাইকারী এবং উদ্ধারকৃত অর্থ ৭ লক্ষ্য ৬০ হাজার টাকা ও ভিকটিমসহ বিকাল অনুমান ১৭.০৫ ঘটিকায় ভুরুঙ্গামারী থানায় নিয়ে আসেন। এসময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ১ টি পালসার মোটরসাইকেলএবং ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে নগদ ০৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। অবশিষ্ঠ টাকা উদ্ধার এবং পলাতক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।