মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

কালের বিবর্তনে দেখা মিলেনা বাক্সবন্দি ফেরিওয়ালা মনজের আলীর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৭ বার পঠিত

কালের বিবর্তনে দেখা মিলেনা বাক্সবন্দি ফেরিওয়ালা মনজের আলীর

সরকার সালাহউদ্দীন সুমন রংপুর বিভাগ।

এক সময়ের গ্রামীণ দৃশ্য ফেরি করে বেড়ানো জিনিসপত্র আজ কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে। এই ফেরির উপর নির্ভার করে জীবকা নির্বাহ করত কয়েকশত মানুষ। এখন অনেকে অন্য পেশা বেচে নিয়েছেন। বয়সের ভারে এ পেশা ছাড়তে পাড়েনি মনজের আলী।

এক সময় গ্রামে ছিলনা তেমন দোকানপাট গ্রামীণ নারীরা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে অপেক্ষায় থাকতো ফেরিওলার। বাড়ির আঙিনায় কিংবা গাছেয় ছায়ায় বসে বিক্রি করত নারীদের চুড়ি,ফিতা,কানের দুল,নাকের ফুলসহ সাজসজ্জার নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এ পেশায় নিয়োজিত থেকে শতশত মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমান আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী হারাতে বসেছে এ পেশা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের গদায় দেখা মিলে চুড়ি ফিতা ফেরি করা মজনের আলী ফেরিওয়ালার। কাঁধে কাচের বাক্স নিয়ে গ্রাম মহল্লায় হেঁটে হেঁটে নানা সুর ছন্দে রাখবেন,নাকি লেইস ফিতা,ফাইলা,কাচের চুড়ি, হাতের বালা।নারীদের সৌখিনতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের সব কিছ পাওয়া যাচ্ছে ওই সব দোকানপাটে তবুও যেন ভীর জমে না মনজের আলীর ফেরি করা দোকানে।

মনজের আলী নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের চাদখানা ইউনিয়নের ডাঙ্গা পাড়ার বাসিন্দা।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের বাজারে হিমশিম খেয়ে যেতে হয় চার সদস্যের পরিবার চালাতে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জুড়লেও পাতে উঠে না ভালো তরকারি। মনজের আলীর দৈনিক আয় ২শ-৩শ টাকা যা বাজারে চাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। বয়সের ভারে যেতে পারেন না অন্য পেশায়।

মনজের আলী বলেন,আমি ২৫ বছর ধরে এ পেশায় আছি। এসময় কি জৌলস ছিল দিনে ১হাজার থেকে ১৫০০ টাকা লাভ হতো এখন দুবেলা খাবারের টাকা লাভ করা দুসকর হয়ে উঠেছে। এখন আর আগের মত গ্রামে চুড়ি ফিতা কিনে না বাজার থেকে কিনে আনেন লোকজন। দিনে খুব কম বেচা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..