বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

কামরাঙ্গীরচর থানার নিজস্ব ভবন চাই।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭০ বার পঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার নিজস্ব ভবন চাই।

নিজস্ব প্রতিনিধি, মোঃ আনোয়ার হোসেন

১৯৯০ সাল পর্যন্ত কামরাঙ্গীরচর ছিল ঢাকার মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এলাকা। অর্থাৎ বুড়িগঙ্গা তখণ একটি দ্বীপ। আট মাস শুকনো আর চার মাস পানির নিচে—এই ছিল এখানকার বাসিন্দাদের নিয়তি বাস কাঠের দোতলা বাড়ীতে ধনী ও পাটাতনের ঝুপড়িঘরে সাধারণ মানুষের বসবাস ছিলো বর্ষার মৌসুমে কোথাও যেতে হলে নৌকা ছাড়া যাওয়া যেতো না। এখানে ধান, ডাল, সরষে লাউসহ অনেক ফসল ফলতো। লেখাপড়া বলতে প্রধানত ছিল মাদ্রাসাশিক্ষা।সেই সময়ে ১৯৯১ সালে প্রথম ‘হাক্কুল এবাদ লোহার ব্রিজ’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে লালবাগের সঙ্গে যুক্ত হয় কামরাঙ্গীরচর এরও ১০ বছর পরে হয় নদী রক্ষা বাঁধ (বেড়িবাঁধ)। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর ৫৫,৫৬,৫৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

সেইকাল থেকে একাল সময়ের আবর্তে অনেক কিছু পাল্টেছে কামরাঙ্গীরচরে স্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের যেমন বসবাস, তেমনি দরিদ্র নিম্নবিত্তদের সংখ্যাও হাজারে হাজারে। এখানে ১০ তলা ভবন যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ বড় বড় শিল্পকারখানা। এখানকার রাস্তাঘাটগুলো সব সময় যানবাহনে পূর্ণ থাকে। পুরো চরে শত শত কল কারখানা। আর এসব কারখানায় দরিদ্র মানুষের কর্মের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের বাহক তবে শিশুশ্রম খুবই মামুলি ব্যাপার।

আওয়ামীলীগ সরকার আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট,মসজিদ মাদ্রাসা, উড়াল সড়ক,মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল সহ হয়েছে অসংখ্য উন্নয়ন এই সরকার যেভাবে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে তাতে সরকার অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার।

কামরাঙ্গীরচরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বুড়িগঙ্গার ঘাটে ভেড়িবাঁধ ঘেষে সড়কের তীর ঘেষে সবুজে সবুজে সুসজ্জিত হয়েছে নানা ধরনের গাছ এতে বেল, কতবেল, নারকেল, পেয়ারা, জলপাই আরও কত গাছ লাগানো হয়েছে। মুক্ত বাতাসের লোভে বিকেলবেলা আশপাশের জনপদ থেকে ভ্রমণপিপাসুরা এখানে এসে বসে ঘুরে সময় কাটান। তবে কামরাঙ্গীরচরে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বিভন্ন রকম অপরাধ সংঘটিত হয় মাদক, শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ,কিশোরগাং এসব সামাজিক অপরাধ দমনের তাগিদ থেকেই ১৯৯৮ সালে হয় কামরাঙ্গীরচর থানা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় উক্ত থানা ভবনটি ভাড়ায় চালিত,
কামরাঙ্গীরচরে ১৯৯৮ থেকে অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও জরাজীর্ণ থানা ভবনটির আজও তেমন উন্নয়নের ছোয়া লাগে নাই আসেপাশের থানায় গেলে মনেহয় বিদেশি কোন থানায় আসছি যেমন, লালবাগ থানা,হাজারীবাগ থানা,কেরানীগঞ্জ মডেল থানা। আর এখানে মশা মাছি সহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসে তিব্র স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ।এতে সাধারণ কয়েদিদের হাজতখানাও একই দুরবস্থা। থানা ভবন ভাড়ায় চালিত হওয়ায় হতভম্ব স্থানীয় সাধারণ মানুষ। উক্ত থানা ভবনটি অতিদ্রুত সরকারের উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে এনে নিজস্ব ভবনে রুপান্তরিত করারও জোর দাবি তাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..