মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

কাঁকনহাট পৌরসভার সুন্দরপুর (যুক্তিপাড়া) গণ পাঠশালার শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪৮ বার পঠিত
কাঁকনহাট পৌরসভার সুন্দরপুর (যুক্তিপাড়া) গণ পাঠশালার শিক্ষকগণ মানবেতর
জীবন যাপন করছে।

মো: তরিকুল ইসলাম তারেক রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড সুন্দরপুর
গ্রামে সুন্দরপুর (যুক্তিপাড়া) গণপাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে
গণস্বাস্থ্য ট্রাস্ট সংস্থার মাধ্যমে। সে প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে
গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন
রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক, রাজশাহী জেলা  স্পেশাল কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ
কন্জুমার রাইটস সোসাইটি রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি, রাজশাহী জেলা নাগরিক
সমাজ সংগঠন (ডাসকো ফাউন্ডেশন) কমিটির সভাপতি, জাতীয় পত্রিকা দৈনিক
সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জনাব মো: মানসুরুর রহমান, সঙ্গে
আরও উপস্থিত ছিলেন আসক ফাউন্ডেশন গোদাগাড়ী উপজেলা শাখা কমিটির সভাপতি
মো: হুমায়ন কবির, রাজশাহী জেলা স্পেশাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো:
মিজানুর রহমান মেসের, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলাম তারেক,
মানবাধিকার কর্মী ও সদস্য মো: ফিরোজ আলী।

পরিদর্শন কালে মো: মানসুরুর রহমান  বলেন গত ১০ অক্টোবর রোজ রবিবার ঢাকায়
মানবাধিকার বিষয়ে জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি জনাব মো: ফজলে হোসেন বাদশা
উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তিনি আমাকে এই স্কুলের কথা বলে এবং বলেন আমি যাতে
উক্ত স্কুল টি পরিদর্শন করে তিনাকে রিপোর্ট প্রদান করি যে বর্তমানে স্কুল
টি কি অবস্থায় আছে। সে সেমিনারে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুচি আন্না
সরেন উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনের সময় পরিচালক সাহেব ও সভাপতিকে সকল শিক্ষক গণ বলেন আমরা উক্ত
স্কুল টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুপ দান করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে
এবং রাজশাহী ডিসি অফিসেও আবেদন করা হয়েছে। পরিচালক সাহেব বলেন এই স্কুল
টি আগে কে দেখ ভাল করত। শিক্ষক গন বলেন ২০০২ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গণ
স্বাস্থ্য ট্রাস্ট হতে আমাদের সকল কিছু বহন করত কিন্তু ২০১৩ সাল এর পর
তারা আমাদের কে বলে যে তারা আর এই স্কুলের দায়ভার  বহন করতে পারবে না তখন
তারা সকল কাগজ পত্র আমাদের বুঝিয়ে দেয়। পরিচালক সাহেব বলেন কাকন হাট
পৌরসভা হতে কি তোমরা কিছু পাওনা তখন তারা বলে আগের মেয়র সাহেব আমাদের
পৌর ফান্ড হতে কিছু সম্মানি দিতেন কিন্তু এখন সেটাও বন্ধ। আমরা কোথায় হতে
এখন কিছু পাইনা। আমরা প্রায় ৬ জন শিক্ষক ও এক জন কর্মচারী নিজের পকেট হতে
টাকা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি।

সকল শিক্ষক ও কর্মচারী দাবী করেন যে বর্তমান সরকার যদি আমাদের এই
গণপাঠশালা স্কুল টি একটি প্রাইমারি স্কুল রুপে ঘোষনা করত তাহলে আমাদের এই
র্দুদশা দূর হতো । কারণ আমরা আমাদের ভবিষৎ নিয়ে অনিশ্চতাই ভূগছি।

তারা আরও বলে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিরতিহীন ভাবে আমরা সকল
শিক্ষক কর্মচারীগন সকল ছাত্র, ছাত্রীদের শিক্ষা দানের কার্যক্রম
স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করেছি।

পরিচালক সাহেব ও সভাপতি প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং
বলেন ঠিক আছে আমরা সকল কিছু জানলাম ও প্রতিষ্ঠানের অবস্থা দেখলাম আমি যত
তাড়াতাড়ি পারি প্রতিবেদন তৈরি করে তা এমপি সাহেবের কাছে পাঠানো হবে  যাতে
এই গণপাঠশালটি একটি প্রাইমারি স্কুল হিসাবে অনুমোদন দানে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..