শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

করোনাকালীন অর্থাভাবে দিশেহারা অর্থমন্ত্রণালয়ের পরিচালিত seip project এর প্রশিক্ষকগন।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ২৬৬ বার পঠিত

 

আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় পরিচালিত স্কীল্ স ফর এ্যামপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় দক্ষকর্মি তৈরী করার লক্ষে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়,শিক্ষা মন্ত্রণালয়,সড়ক ও সেতু  মন্ত্রনালয়ের  বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বি আর টি সি ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার সহ সরকারী ও বেসরকারী ৪২৫ টি প্রতিষ্ঠানে ১০টা ডিপার্টমেন্টে ১৩৯ টি কোর্স পরিচালনা করছেন ৪১৫৪ জন প্রশিক্ষক, এই প্রকল্পটি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে হাতে নিয়েছেন, উক্ত প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৪,৭৬,০৮৭ জন প্রশিক্ষাণার্থী বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন, তন্মধ্যে ১,৪৯,১৮০ জন মেয়ে প্রশিক্ষনার্থী রয়েছেন, এসব প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে ৩,০৬,২৪৯ জন প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে তাদের জীবন মান উন্নয়ন সহ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন।
কিন্তু এই সব মানুষ গড়া কারিগর গন তাঁদের নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থাভাবে খুবই কষ্টে দিনাদিপাত কাটাচ্ছেন, পারছেন না তাদের ছেলেমেয়েদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে, তারা পান না  কোন উৎসবভাতা।
ঈদ উৎসব সহ বিভিন্ন উৎসবে তারা লজ্জিত হন ছেলেমেয়েদের কাছে, এবং বৃদ্ধ মা বাবাদের চিকিৎসা করাতে না পেরে অনেকেই অসহায় হয়ে কান্নাকাটি করছেন।
জানা যায় প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতায় পরিচালিত দেশের ৬৪ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে, মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স সহ, গ্রাফিক্স ডিজাউন,কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন,গামেন্টস,রেফ্রিজারেন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইন্সট্রলেশন, ওয়েল্ডিং, মেশন,মেশিন সপ প্র্যাকটিস,জেনারেল মেকানিক্স,পাইপফিটিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে  ২৭০ জন মত প্রশিক্ষক তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব খুবই নিষ্ঠা এবং সততার সাথে পালন করে আসছেন,  যার ফল ইতমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, দেশে- বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে।
কিন্তু দীর্ঘ করোনাকালীন সময়ে গত বছর ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস এবং ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে অদ্যবধি কোন বেতন ভাতা পাচ্ছেন না এ সমস্ত প্রশিক্ষকবৃন্দ, এমন কি করোনাকালীন কোন অনুদান ও এ পর্যন্ত কেউই পাননি, অথচ তাদের প্রশিক্ষণার্থীগন এককালীন ৫০০০/- অনুদান পেয়েছেন৷ এবং সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এমন কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাদ নেই যে তারা প্রণোদনা পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশিক্ষক বলেন, আমরা তো কোন দোষ করিনি, আমরা নিজের ইচ্ছায় তো আর ক্লাস বন্ধ রাখিনি তাহলে কেন আমরা বেতন পাব না৷ আমাদের কি সংসার নাই, আমরা তো মানুষ আমাদেরকে কে বাঁচতে হবে, আমাদের ছেলেমেয়েদের মুখে তো দুমুঠো খাবার তুলে দিতে হবে।
আমরা সরকারের প্রনোদনা প্যাকেজ থেকে বিগত দিনের বেতন চাই,  এবং চলমান সময়গুলোতে যেন প্রশিক্ষন বন্ধ থাকলে ও আমাদের বেতন  বন্ধ না হয়, আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা সহ অন্যান্য উৎসব ভাতা চাই,   আমাদের এ সকল দাবী আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর..